ঢাকা,মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

ইনানী সমুদ্র উপকূলে উজাড় হচ্ছে ঝাউবীথি, বনবিভাগের ভূমিকা রহস্যজনক

jaoফারুক আহমদ, উখিয়া ॥

উখিয়ার ইনানী সমুদ্র উপকূলে ঝাউবীথি নিধন চালিয়ে উজাড় করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রভাবশালী সংঘবদ্ধ গাছ খেকো ঝাউবীথির বাগানে নিধনযজ্ঞ চলাচ্ছে। কর্তনকৃত ঝাউগাছ উদ্ধার করার পরও রেজু টহল বিট কর্মকর্তা রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, ইনানী সমুদ্র উপকূল জুড়ে বনবিভাগ ঝাউবীথি সৃজন করেছে। সারি সারি ঝাউগাছ সৌন্দর্য্য বর্ধনের পাশা-পাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা ও ভাঙ্গন রোধ করছে। সাগরের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করার জন্য মূলত ঝাউবীথি রোপন করা হয়।

অভিযোগে প্রকাশ সম্প্রতি কয়েকটি সংঘবদ্ধ পাচারকারী সিন্ডিকেট সমুদ্র উপকূলের ঝাউবীথির উপর কু-দৃষ্টি দেয়। প্রতিদিন অসংখ্য ঝাউগাছ কেঁটে সাবাড় করে ফেলছে তারা। বলতে গেলে ইনানী বিশাল সমুদ্র এলাকার ঝাউবীথি দিন দিন উজাড় হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত সপ্তাহে সোনার পাড়া রেডিয়ান হ্যাচারীর সম্মূখে ঝাউবাগান হতে অসংখ্য গাছ কেঁটে নিয়ে আসে গাছ পাচারকারী সদস্যরা। প্রতিদিন কোননা কোন স্থান হতে এভাবে ঝাউগাছ কর্তন করে বিভিন্ন জায়গায় পাচার করে আসছে। এদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রেজু টহল ফাঁড়ির কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোহসিনের নেতৃত্বে একদল বনকর্মী সোনার পাড়াস্থ বড় পাড়া গ্রামে রহমত উল্লাহ, রাশেল ও হাসানের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান ঝাউগাছ উদ্ধার করে। গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, এসব ব্যক্তির বাড়ী হতে মজুদ অবস্থায় অবৈধ ভাবে কর্তনকৃত ঝাউগাছ উদ্ধার হওয়ার পরও রেজু টহল ফাঁড়ির কর্মকর্তা রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছে। সচেতন নাগরিক সমাজের মতে পাচারকারীর কবল থেকে বিপুল পরিমান ঝাউগাছ জব্দ করেও তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সর্বত্র ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কারণ এভাবে পাচারকারীরা সুযোগ পেলে ঝাউগাছ কর্তন বন্ধ করা খুবই কঠিন হবে। উল্টো দিন দিন ঝাউবীথি পাচারকারীর হাতে চলে যাবে। গ্রামবাসীরা জানান, মোটা অংকের টাকার বিনিময় পাচারকারীরা মামলা ধামাচাপা দিয়েছে।

এদিকে এ খবর চার দিকে ছড়িয়ে পড়লে ইনানী বনবিভাগের নজরে আসে। গত বুধবার ইনানী বিটকর্মকর্তা জাকির হোসেন কর্তনকৃত ঝাউগাছ জব্দ ও উদ্ধার হওয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে জানা গেছে। পরিবেশ বাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা সমুদ্রের সৌন্দর্য্য বর্ধনকারী ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সৃজনকৃত ঝাউবীথি বাঁচাতে পাচারকারী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ সহ ঝাউগাছ কর্তন বন্ধে বিভাগীয় বনকর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত: