দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সম্মেলনের ৪৫দিনের মধ্যে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের নিয়ম থাকলেও তারা আড়াই বছর ধরে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি। তাছাড়া বাবলা ও ছুট্টোর নেতৃত্বাধীন কমিটি অনুমোদন দেয়নি কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ। সেই হিসেবে গঠনতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী বাবলা ও ছুট্টোর নেতৃত্বাধীন কমিটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। এমন কী বিগত সময়ে মাতামুহুরী থানা আওয়ামী লীগের কোন ধরণের সাংগঠনিক কার্যক্রম এগোতে পারেনি। তারা গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চকরিয়া-পেকুয়া আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদের বিরোধীতা করে বিদ্রোহী প্রার্থী জাফর আলমের পক্ষে কাজ করেছেন। তারা মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা আওয়ামী লীগের কমিটিতে ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেনি। এছাড়া বাবলা ও ছুট্টো নেতৃত্বে বিগত সময়ে চিংড়িঘের দখল, বাজার দখল, জমি দখল ও বদ্ধ জলমহাল দখলের অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণে গত ১৫ এপ্রিল মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরে হোছাইন আরিফ জানান, ২৭ এপ্রিল ইলিশিয়া জমিলা বেগম উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়নে বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক পরিচয় দিয়ে বাবলা ও ছুট্টো বিভিন্ন ইউনিয়নের সভাপতি-সম্পাদককে বহিস্কারের হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। এমন কী অনেক নেতাকর্মীদের মামলার হুমকিও দিচ্ছেন। হুমকি ধমকি দিয়ে নেতাকর্মীদের দমিয়ে রাখা যাবে না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাতামুহুরী অঞ্চলের মানুষ ফুসে উঠেছে বলেও জানান তিনি।
পাঠকের মতামত: