ঢাকা,বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

পেকুয়ায় করিয়ারদিয়ায় গ্যাস সঞ্চালন লাইন বাস্তবায়ন কাজ স্থাগিত

faloupনাজিম উদ্দিন ::

পেকুয়ায় করিয়ারদিয়ায় গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপন কাজ স্থগিত হয়েছে। জমি অধিগ্রহনে মালিক ও লবন চাষিরা ক্ষতিপুরন না পাওয়ায় চাষিরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এদিকে ক্ষতিপুরন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত উজানটিয়া ইউনিয়নের করিয়ারদিয়ায় গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপন কাজ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের সাথে বাকবিতন্ডায় না গিয়ে লবন চাষিদের যুক্তিক দাবির প্রতি তারাও সম্মত হয়েছে। উজানটিয়া ইউপির চেয়ারম্যান এম.শহিদুল ইসলাম চৌধুরী গত বুধবার করিয়ারদিয়া পরিদর্শনে যান। এ সময় শতশত লবন চাষিরা তাকে বিষয়টি অবহিত করেন।

তারা জানিয়েছেন চলমান গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ করিয়ারদিয়ায় বিপুল এলাকা গর্ত করেছে। খননকৃত ওই গর্তে মাটির নিচে গ্যাস সঞ্চালনের জন্য পাইপ বসানো হচ্ছে। এতে লবন মাঠ ওই চিংড়ি প্রজেক্ট ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। লবন ও চিংড়ি উৎপাদনে চাষিরা বিপুল অর্থ পুঁজি দিয়েছেন। এরমধ্যে লবন মাঠের প্রায় তিন মাস অতিবাহিত হয়েছে।

বর্তমান লবন উৎপাদনে মাত্র মৌসম চলমান। কাজ বাস্তবায়ন হলে পাঁচ শতাধিক লবন চাষি মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হবে। জমি অধিগ্রহনে শর্ত রয়েছে ভুমির মালিকরা টাকা পাবেন। লবন চাষিরা ছয় মাসের জন্য জমি আগাম নিয়ে মাঠে নামেন। এখাতে তাদের ব্যয় হয় বিপুল অর্থ। জানাগেছে চলমান কাজ অব্যহত থাকলে চাষিদের উৎপাদন গুটিয়ে যাবে।

অপরদিকে চাষিদের দাবির প্রতি একমত পোষন করেছেন ওই ইউপির চেয়ারম্যান নিজেই। তিনি উর্দ্ধতন মহলকে চাষিদের ক্ষতিপুরন নিশ্চিত করতে তাগিদ দিয়েছেন। তিনি কাজবাস্তবায়ন সংস্থাকে এ সংক্রান্ত নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেন।

সাবেক ইউপি সদস্য জাফর আলম, মনির উদ্দিন, এসফার উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয়রা জানিয়েছেন আমরা ক্ষতিপুরন না পাওয়া পর্যন্ত কাজ বাস্তবায়ন হওয়া মানে এটি আমাদের সাথে বৈষম্য। চেয়ারম্যান জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে কথা বলে এখানে এসেছেন।

এ ব্যাপারে উজানটিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি তোফাজ্জল করিম বলেন এটি চাষিদের ন্যায্য দাবি। সরকার দরিদ্র জনগোষ্টির ক্ষতিপুরন নিশ্চিত করেছেন। যারা কাজ করছে তারা ঠকানোর চেষ্টা করছেন। প্রয়োজনে এলাকাবাসিকে নিয়ে চাষিদের ন্যায্য হক আদায়ের কর্মসুচি ঘোষনা করা হবে।

ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) এর সাথে কথা হয়েছে। তিনি জনগনের যুক্তিক দাবির পক্ষে। তাই ক্ষতিপুরন না পাওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। আমরা উন্নয়ন চাই। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের নিয়েও ভাবতে হবে। কোন মানুষ তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হোক এটা কখনো মেনে নেয়া যাবেনা।

ফলোআপ

পেকুয়ায় দেলু ডাকাত হত্যার ঘটনায় ১৮জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার-৪

নাজিম উদ্দিন :::

পেকুয়ায় দেলোয়ার হোসেন প্রকাশ দেলু ডাকাত (৫৫) হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা রেকর্ড় করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সালাহ উদ্দিন বাদি হয়ে পেকুয়া থানায় ১৮জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং-০২/১৬। পুলিশ ওইদিন রাতে ৪জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের শরৎঘোনা এলাকার মৃত.আব্দুর রহমানের ছেলে গিয়াস উদ্দিন প্রকাশ মনু (৩০), মৃত.আলী আকবরের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (৪০), আলী আহমদের রবিউল আলম (১৪) ও আব্দুল মালেকের ছেলে নবীর হোসেন (২৫)। মামলার অপর আসামিরা হলেন একই এলাকার শামসুল আলমের ছেলে মনছুর আলী (৩০), আব্দুল খালেকের ছেলে মোকতার আহমদ (৪৫), জাকের হোসেন (৩৫), কবির হোসেন (২৩), আকতার আহমদ (৪২), রমযান আলী (৩৫), কোরবান আলী (৩৩), জাবের আহমদের ছেলে জহির আলম (৩৮), মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে শামসুল আলম (৫০), মৃত.আব্দুল হাকিমের ছেলে নাজেম উদ্দিন (৩৫), আকতার আহমদের ছেলে ভেট্টা মিয়া (২৫), আহমদ আলীর ছেলে নাজেম উদ্দিন সর্দার (৩৮), পশ্চিম বাজার পাড়া এলাকার হোছাইন আলীর ছেলে জিয়াবুল করিম প্রকাশ বুলু (৩৯) ও মৃত.মোস্তাক আহমদের ছেলে সেলিম উদ্দিন (৪০)। পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ আশরাফুজ্জামান এর সত্যতা স্বীকার করেছেন। গ্রেফতারকৃতদের আজ বৃহষ্পতিবার (গতকাল) আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলাসুত্রে জানাগেছে গত ২ফেব্রুয়ারী রাতে রাজাখালী ইউনিয়নের নতুনঘোনা এলাকার মৃত.আশকর আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন প্রকাশ দেলুকে মুঠোফোনে ভোজনভোজে নিমন্ত্রন জানিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।

##################

পেকুয়ায় হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

পেকুয়া প্রতিনিধি :::faloup

পেকুয়ায় এক হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাত ৮টার দিকে পেকুয়া থানার এএসআই মনিতোষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামির নাম মো আনিসুল ইসলাম (৩০)। তিনি উপজেলার টইটং ইউনিয়নের নাপিতখালী পেন্ডারপাড়া এলাকার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে বলে জানা গেছে। পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ আশরাফুজ্জামান জানিয়েছেন ওই দিন রাতে তাকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পেন্ডারপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সে টইটং বটতলি এলাকার বৃদ্ধ উকিল আহমদ হত্যা মামলার পলাতক আসামি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরো একাধিক মামলা রয়েছে। গতকাল তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: