রাজধানীর গুলশানে হলি বেকারি রেস্টুরেন্টে বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতে সংঘবদ্ধ বন্দুকধারীদের হামলায় ৪ জন নিহতসহ র্যাব পুলিশের অন্তত ২০জন সদস্য আহত হন। ‘আল্লাহ আকবার’ ধ্বনি উচ্চারণ করে তারা গুলি ছাড়াও মুহুর্মুহু বোমা ফাটায়। এতে পুরো এলাকা জুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
রাত পৌনে ৯টায় শুরু হওয়া হামলা এ রিপোট লেখা পর্যন্ত রাত ১১টা চলছিল। রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে আহতদের মধ্যে ৭জনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে গুলশান থানার ডিউটি অফিসার সাইদুর রহমান যুগান্তরকে জানান, রাত পৌনে ৯টায় একদল সন্ত্রাসী গুলশান-২ নম্বরের ৭৯ নম্বরে সড়কের ওই রেস্টুরেন্টে হামলা চালায়।
সন্ত্রাসীদের স্যংখ্যা প্রথমদিকে ৮/১০ জন মনে হলেও পরবর্তীতে দেখা যায়, ২০ থেকে ২৫ জনের সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীগোষ্ঠি পুরো হোটেলটি জিম্মি করে ফেলে। হোটেলটিতে ২০ জনের মতো বিদেশী নাগরিক রয়েছেন। এর আগে সন্ত্রাসীরা ফাঁকা গুলি গুলি করতে করতে হোটেলটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। তাদের হাতে ক্ষুদ্রাআগ্নেয়াস্ত্র, চাপাতি এবং তলোয়ারও দেখা গেছে।
খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পরে পুলিশও সন্ত্রাসীদের দিকে পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল গোলাগুলি চলতে থাকে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা গুলির পাশপাশি পর পর বেশ কয়েকটি শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
এ সময় যারা ভয়ে ছাদে ওঠে গিয়েছিলেন তারা জীবন বাঁচাতে নিচে লাফিয়ে পড়েন। এতেও কয়েকজন আহত হন।
আহতদের মধ্যে সমুন রেজা নামে হোটেলটির সুপারভাইজার সাংবাদিকদের বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা আল্লাহ আকবার বলে হামলা শুরু করে। এ সময় ভয়ে তারা দিকবিদিক পালাতে থাকেন। কেউ কেউ চেয়ার-টেবিলের নিচে শুয়ে পড়েন।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে পর পর কয়েকটি শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ সময় আহত অবস্থায় কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা যখনই হোটেলটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তখনই তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হচ্ছে। ঘটনার আকির্স্মকতায় আইনশৃংখলা বাহিনীকে অনেকটা হতবিহ্বল হতে দেখা গেছে।
এদিকে রাত ১১টার দিকে র্যাবের একটি হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। আক্রান্তস্থলটিকে ঘিরে হেলিকপ্টারটিকে প্রদক্ষিণ করতে দেখা যায়।
তবে একটি সূত্র বলছে, রেস্টুরেন্টের ভেতর সন্ত্রাসীরা বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা যুগান্তরকে জানান, রাজধানীতে এমন হামলা হবে তারা চিন্তাও করতে পারেননি। তার চাকরিজীবনে কখনও এ রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়নি। তবে সন্ত্রাসীরা পার পাবে না। তাদেরকে সর্বশক্তি দিয়ে মোকাবেলা করা হবে।
- ২১ বছর পর মায়ের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ অনাথ শিশুকে বুঝিয়ে দিলেন ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান!
- রামুতে রেললাইনে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ
- চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড এর নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিম
- নাইক্ষ্যংছড়িতে মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা
- চকরিয়ায় আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে সাত প্রার্থীকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা
- আ.লীগের সিনিয়র নেতারা মাঠে নামায় পাল্টে যাচ্ছে ভোটের হিসাব
- সরকারী অফিস ফাঁকি দিয়ে ব্যাক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দরবেশকাটার বিসিক কর্মকর্তা
- “মাতারবাড়ী সংযোগ সড়কে রানিং বিল নিয়ে ঠিকাদার লাপাত্তা:
- রাতের আঁধারে প্রজেক্টে মুখোশধারিদের বিষ প্রয়োগ, মরে ভেসে উঠল ৩০ লাখ টাকার মাছ
- মেয়াদের এক বছর আগেই গোপনে পহরচাঁদা ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে সাঈদী
- মেয়াদের এক বছর আগেই গোপনে পহরচাঁদা ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন
- রাতের আঁধারে প্রজেক্টে মুখোশধারিদের বিষ প্রয়োগ, মরে ভেসে উঠল ৩০ লাখ টাকার মাছ
- সরকারী অফিস ফাঁকি দিয়ে ব্যাক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দরবেশকাটার বিসিক কর্মকর্তা
- “মাতারবাড়ী সংযোগ সড়কে রানিং বিল নিয়ে ঠিকাদার লাপাত্তা:
- আ.লীগের সিনিয়র নেতারা মাঠে নামায় পাল্টে যাচ্ছে ভোটের হিসাব
- চকরিয়ায় আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে সাত প্রার্থীকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা
- ২১ বছর পর মায়ের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ অনাথ শিশুকে বুঝিয়ে দিলেন ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান!
- নাইক্ষ্যংছড়িতে মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা
- চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড এর নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিম
- রামুতে রেললাইনে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ
পাঠকের মতামত: