ঢাকা,মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

আজ চট্টগ্রামে ছয় প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

pmo1054-1-2_2781অনলাইন ডেস্ক ::

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) অধীনে বাস্তবায়নাধীন চার হাজার ৯৩৫ কোটি টাকার ছয়টি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। এজন্য শনিবার সকাল ১১টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে পৌঁছান তিনি। এরপর সেখানে এক অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী সদস্যদের উদ্দেশ্য ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।   এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে চট্টগ্রামে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, অক্সিজেন ও কুয়াইশ এলাকায় স্থাপিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল সাজানো হয়েছে বর্ণাঢ্য সাজে। চট্টগ্রাম সেনানিবাস থেকে বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে কুয়াইশে (অনন্যা আবাসিক এলাকায়) বঙ্গবন্ধু এভেনিউ ও ম্যুরালসহ চউকের উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন ৫ হাজার কোটি টাকার ৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

সেখান থেকে তিনি সরাসরি চলে যাবেন আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে। বিকাল ৩টায় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হবে বলে চেম্বার সূত্র জানিয়েছে। তবে দুপুর দেড়টার মধ্যেই অতিথিদের উপস্থিত হওয়ার জন্য চট্টগ্রাম চেম্বার চিঠিতে অনুরোধ জানিয়েছে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে শুক্রবার সকালে বায়েজিদ বোস্তামী আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্বাগত মিছিল করেছে। রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বর্ধিত সভার মাধ্যমে।

যেসব প্রকল্প উদ্বোধন করবেন:

চট্টগ্রাম চেম্বারের উদ্যোগে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ছাড়াও চউকের উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন ১৭২ কোটি টাকার বায়েজিদ বোস্তামী থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত লুপ রোডের নির্মাণ কাজ, ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পতেঙ্গা থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত চিটাগাং সিটি আউটার রিং রোড প্রকল্প, ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে টাইগারপাস থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ভিত্তিস্থাপন, ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ও ৫৮ কোটি ?টাকা ব্যয়ে কদমতলী ওভারপাস এবং কুয়াইশে দেশের সবচেয়ে উঁচু বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন করা হবে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এখন চট্টগ্রামের চেহারা পাল্টে গেছে। নগরীতে এখন খানাখন্দে ভরা সড়ক নেই। ২০০৯ সাল থেকে চট্টগ্রামে উন্নয়নের মহোৎসব শুরু হয়েছে। গত সাত বছরে একদিনের জন্যও চট্টগ্রামের উন্নয়ন বন্ধ ছিল না। যা দৃশ্যমান তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। এটি অবিশ্বাস্য ব্যাপার। উন্নয়ন হচ্ছে চলমান প্রক্রিয়া। একবার উন্নয়ন বন্ধ হলে অনেকদিন ফাইল চাপা পড়ে থাকে।

চট্টগ্রামবাসী একসঙ্গে এত উন্নয়ন অতীতে দেখেনি উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ১০০ বছরের কথা মাথায় রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।৩ লাখ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট হবে, ৩০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ হবে, ৩২ বিলিয়ন ডলার এক্সপোর্ট হবে এটি ১০ বছর আগেও কেউ চিন্তা করতে পারেনি।

পাঠকের মতামত: