বিয়ে করলে আর্শীবাদ নেমে আসে। লোকে অনেক দিন বাঁচে। অনেক দিন ধরে প্রচলিত এই গুজবকে আরও একবার মিথ্যা প্রমাণিত করলেন এক মার্কিন মনোবিজ্ঞানী। তার দাবি, বিয়ে করার চেয়ে একা থাকলেই জীবন অনেক বেশি উপভোগ্য, নির্ভেজাল ও অর্থপূর্ণ হয়।
অধ্যাপক বেলা ডে পাওলো ডেনভারে যুক্তরাষ্ট্রের সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক কনভেনশনে বলেন, বিয়ে করলে লোকে বেশিদিন বাঁচে, সুখী হয় ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে পারেন, প্রচলিত এই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করতে চান তিনি। তিনি বলেন, গত ৩০ বছরে একা থাকা মানুষের ওপর চালানো আটশ’রও বেশি গবেষণাকর্ম পর্যবেক্ষণ করেছেন তিনি।
পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, যারা একা থাকেন, বিবাহিত লোকদের তুলনায় তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা অনেক বেশি হয়। আর ব্যক্তি হিসেবেও তারা ক্রমাগত অগ্রগতি ও উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন, বলেন সান্তা বারবারার ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডে পাওলো।
আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, বিবাহিত লোকদের চেয়ে একা থাকা লোকরা অর্থপূর্ণ কাজের মূল্যায়ন করেন বেশি।
অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে, একা থাকা লোকরা জীবনভর স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকেন। আর তারা যতটা স্বয়ংসম্পূর্ণ হন ঠিক ততটাই নেতিবাচক আবেগ তাদের স্পর্শ করতে পারে না। কিন্তু বিবাহিত লোকদের বেলায় ঠিক এর উল্টোটা দেখা যায়।
অবিবাহিত লোকরা বিবাহিত লোকদের চেয়ে বাবা-মা, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী এবং সহকর্মীদের সঙ্গে অনেক বেশি যুক্ত থাকতে পারেন।
অধ্যাপক ডে পাওলো বলেন, এখন সময় এসেছে অবিবাহিত লোকদের জীবনকে সঠিকভাবে চিত্রায়িত করার। অবিবাহিত লোকদের জীবনকে কীসে এতটা অর্থপূর্ণ করে তোলে তা খুঁজে বের করার।
তিনি বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, বিয়ে করে সুখী হওয়া এবং স্বাস্থ্যবান থাকা যায় এই ধারণা ঠিক নয়। এছাড়া বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক এবং বিয়ের সম্পর্কের মধ্যেই মানুষের খাঁটি মানবিক সম্পর্কগুলো সীমাবদ্ধ নয়। এর বাইরেও খাঁটি মানবিক সম্পর্ক হতে পারে।
পাঠকের মতামত: