ঢাকা,শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

গণপরিবহনে চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের প্রধান তাহের সিকদারসহ গ্রেফতার ৫

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ;;    কক্সবাজার কক্সবাজারে র‌্যাবের অভিযানে গণপরিবহন ভিত্তিক চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের প্রধানসহ ০৫ জন গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের রসিদ ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে সংগ্রহকৃত ১০ হাজার ২০০ টাকা জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‌্যাব- ১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মোঃ আবু সালাম চৌধুরী।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন: ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ মুহুরীপাড়ার মৃত আফতাব উদ্দিন সিকদারের ছেলে তাহের আহমেদ সিকদার (৫০), টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বিজিবি চেকপোষ্ট ০২ নং ওয়ার্ডের মৃত ইসলামের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৩৫), রামু উপজেলার ফতেকারকুল ০৫ নং ওয়ার্ড হাইটুপি গ্রামের নিরঞ্জন বড়ুয়ার ছেলে সুজন বড়ুয়া (৪২), সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের মুহুরীপাড়া।০৪ নং ওয়ার্ডের আবু বক্করের ছেলে ওয়াবায়দুল করিম (৪০) ও চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থানার বড়মা ইউনিয়নের চরবড়মা গ্রামের মৃত গোলাম কাদেরের ছেলে শাহ জাহান (৪৮)।
র‌্যাব জানায়, গত সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০ টা ১৫ মিনিটে তাদেরকে চাঁদা আদায়ের রসিদ ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে সংগ্রহকৃত ১০ হাজার ২০০ টাকাসহ চাঁদাবাজিকালে হাতেনাতে ধরা হয়।

র‌্যাব-১৫ জানায়, আসামীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কক্সবাজারে আগত যানবাহনের চালক/শ্রমিকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ১০০/২০০/৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০/১২০০ পর্যন্ত যার কাছ থেকে যা সম্ভব টাকা চাঁদা আদায় করতেন। এছাড়াও তারা কক্সবাজারের বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টার ইনচার্জদের কাছ থেকেও মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি ও চাঁদা প্রদান না করলে প্রাণনাশসহ বিভিন্ন ধরণের হুমকি প্রদান করতেন। এভাবে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি তারা জেলা পরিবহন খাতকে বিশৃঙ্খল করে তুলেছিলেন।
“কক্সবাজার শ্যামলী পরিবহনের মহা ব্যবস্থাপক (জিএম) খোরশেদ আলম শামীম বাদী হয়ে আটককৃতদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। আটককৃত আসামীদের পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়ার জন্য থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”
র‌্যাব-১৫ আরো জানায়, চাঁদাবাজ চক্রটির প্রধান আটককৃত তাহের আহমেদ সিকদার পেশায় একজন আইনজীবী। তিনি জাতীয় শ্রমিকলীগ কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামী। এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘসময় কারাগারে ছিলেন তিনি। মূলত কারাগার থেকে বেরিয়েই তিনি চাঁদাবাজ চক্রটি গড়ে তোলেন। এছাড়াও তিনি বিস্ফোরক দ্রব্যসহ বিভিন্ন থানায় ০৬টি মামলার আসামী।
এই প্রসঙ্গে র‌্যাব-১৫ এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক বলেন, “অপরাধীচক্র যত শক্তিশালীই হোক না কেন, তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে র‌্যাব দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আইনবিরুদ্ধ কর্মকান্ডে লিপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের এমন অভিযান চলমান থাকবে।”

পাঠকের মতামত: