এম. আজিজ রাসেল :: জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেছেন, সরকারি—বেসরকারি এবং আন্তর্জাতিক সব পরিমণ্ডলে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে প্রয়াস চালানো হচ্ছে। তবে এ জন্য ব্যক্তি ও সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার। কারণ শিশু ও নারীমুক্তি ছাড়া দেশের সার্বিক উন্নতি সম্ভব নয়। সোমবার (০১ ফেব্রুয়ারী) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে ও ইউএনএফপিএ’র সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত “এডভান্সমেন্ট অফ উইমেন্স রাইটস্” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সমন্বয়ে ব্রিফিং কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ আরও বলেন, বর্তমান সরকার নারীর ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে, নারী নেতৃত্বকে উৎসাহিত করছে। মেয়েদের জন্য প্রাথমিক থেকে ডিগ্রি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছে, উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে, বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হচ্ছে এবং মিড—ডে মিল কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় অধিকসংখ্যক নারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। সরকারের এসব কর্মযজ্ঞের ফলে মেয়েরা স্বাবলম্বী হচ্ছে, অর্জন করছে অর্থনৈতিক মুক্তি এবং হ্রাস পাচ্ছে নারী নির্যাতন।
জেলা প্রশাসক বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ইমাম—খতিবদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। এ বিষয়ে জুমার খুতবায় নারী ও শিশু নির্যাতনের কুফল নিয়ে কোরআন হাদিসের আলোকে আলোচনা করতে হবে। পালন করতে হবে গান, পথনাটকসহ নানা জনসচেতনমুলক কর্মসূচি। গৃহীত কর্মসূচিতে জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে জেলা—উপজেলায় নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির মাধ্যমে ইউএনএফপিএ’র সহযোগিতায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর পরিচালিত “এডভান্সমেন্ট অফ উইমেন্স রাইটস্” প্রকল্প অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের নারীরা কোথাও পিছিয়ে নেই। নেতৃত্ব, সেনাবাহিনী, জনপ্রশাসন, চিকিৎসা, শিক্ষা, গবেষণা, ক্রীড়াসহ সব ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়েছে। নারী ও শিশুর প্রতি নির্যাতন প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদ ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ—পরিচালক সুব্রত বিশ্বাস, জেলা পুজা উৎপাদন পরিষদের সভাপতি এড. রনজিত দাশ, জেলা তথ্য অফিসার মো. শাহ আলম আব্দুর রহিম নুরন্নবী, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আহসানুল হক, কক্সবাজার সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. শফি উদ্দিন, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিন, জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিদ্দিকী, মাদরাসা—এ—তৈয়বিয়া তাহেরিয়া সুন্নিয়ার অধ্যক্ষ মাওলানা শাহাদাত হোসেন আল কাদেরী, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হামিদা তাহের, রামু উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফসানা জেসমিন পপি, উখিয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন্নেছা বেবী, টেকনাফ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহেরা আকতার মিলি, রামু জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন প্রিন্স, ফতেখারকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম ও রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান।
কর্মশালায় নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও ইউএনএফপিএ যৌথভাবে পরিচালিত “এডভান্সমেন্ট অফ উইমেন্স রাইটস্” প্রকল্পের নানা কার্যক্রমের সচিত্র প্রতিবেদন পেশ করেন ইপসা’র প্রজেক্ট কো—অডিনেটর মো. জসিম উদ্দিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উখিয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিরিন ইসলাম।
কর্মশালায় ইমাম, জনপ্রতিনিধি, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং ছাত্র—ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ—পরিচালক সুব্রত বিশ্বাস জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও ইউএনএফপিএ যৌথভাবে পরিচালিত “এডভান্সমেন্ট অফ উইমেন্স রাইটস্” প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার, পটুয়াখালী, বগুড়া ও জামালপুরে নানা কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পে অন্যতম উদ্দেশ্য হলো—জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কিমিটিগুলোকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা। ইতোমধ্যে ইউএনএফপিএ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সাথে পরামর্শক্রমে ‘আস্থা’ নামক নতুন একটি প্রকল্প ওই ৪ জেলায় কার্যক্রম শুরু করেছে। এই কার্যক্রম কক্সবাজারের রামু, উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায়ও চলছে। ‘আস্থা’ প্রকল্প সরকারের জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা, নারীর ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। যা ‘এডভান্সমেন্ট অফ উইমেন্স রাইটস্’ প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা প্রদান করছে। প্রকল্পটি আইন এবং সালিশ কেন্দ্র ও জেলা পর্যায়ে অবস্থিত সহযোগী সংগঠনসমূহসহ জেলা—উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করছে। আগামীতেও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
প্রকাশ:
২০২১-০২-০১ ১৬:৩৭:২৭
আপডেট:২০২১-০২-০১ ১৬:৩৭:২৭
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে সাঈদী
- রামুতে পাহাড়ি ছড়ায় গোসল করতে গিয়ে ২ শিশুর মৃত্যু
- চকরিয়ায় ধান ক্ষেত থেকে লম্বা অজগর সাপ উদ্ধার, পরে অবমুক্ত
- পেকুয়ায় চেয়ারম্যান পদে চমক দেখাতে পারে নারী প্রার্থী রুমানা আক্তার, গণসংযোগে গণজোয়ার
- চকরিয়ায় শাখাখালের তীর থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ১১৪ টি ভোট কেন্দ্রে মোট ৩ লক্ষ ৬১ হাজার ১০৩ জন ভোটা
- রামুতে গাড়িযোগে পাচারকালে ২০ হাজার ইয়াবাসহ ২ যুবক আটক
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: লড়াই চলছে শেয়ানে শেয়ানে
- চকরিয়া-পেকুয়ায় দুই লবণ চাষী নিহত, উড়ে গেছে বসতঘর
- চকরিয়ায় চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- চকরিয়ায় প্রভাবশালীর কাছে জিম্মি অসহায় পরিবার
- পেকুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কে কোন প্রতীক বরাদ্দ পেলেন
- চকরিয়ায় প্রভাবশালীর কাছে জিম্মি অসহায় পরিবার
- চকরিয়ায় চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- ব্যাপক উৎসাহ—উদ্দীপনায় সাংবাদিক সংসদের এক যুগপূর্তি উৎসব সম্পন্ন
- চকরিয়া-পেকুয়ায় দুই লবণ চাষী নিহত, উড়ে গেছে বসতঘর
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: লড়াই চলছে শেয়ানে শেয়ানে
- চকরিয়ায় শাখাখালের তীর থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- পেকুয়ায় চেয়ারম্যান পদে চমক দেখাতে পারে নারী প্রার্থী রুমানা আক্তার, গণসংযোগে গণজোয়ার
- রামুতে গাড়িযোগে পাচারকালে ২০ হাজার ইয়াবাসহ ২ যুবক আটক
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ১১৪ টি ভোট কেন্দ্রে মোট ৩ লক্ষ ৬১ হাজার ১০৩ জন ভোটা
- চকরিয়ায় ধান ক্ষেত থেকে লম্বা অজগর সাপ উদ্ধার, পরে অবমুক্ত
পাঠকের মতামত: