ঢাকা,মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজারের রশিদ নগরে ধানের শীষ নিয়ে লুকোচুরি

aaaaসেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও ::

কক্সবাজারের রশিদ নগর ইউনিয়নে ধানের শীষের প্রার্থী মনোনয়নে শেষ মুহুর্তেও লুকোচুরির অভিযোগ তুলছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে দলের মাঠ পর্যায়ে চলছে চাপা ক্ষোভ। ৪ বিএনপি নেতা ধানের শীষের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে রয়েছে।

সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার বিএনপির ভোট ব্যাংক হিসাবে খ্যাত রশিদ নগর ইউনিয়নের বহুল প্রতিক্ষিত নির্বাচনের তপশীল ঘোষিত হচ্ছে বৃহষ্পতিবার। শেষ মুহুর্তে ধানের শীষের একক প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে নাটক অব্যাহত থাকায় কে হচ্ছেন প্রার্থী তা নিয়ে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ ভোটারদের মাঝে বিরাজ করছে চরম হতাশা। এদিকে ইউনিয়ন ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের এ নাটকের মাঝেও বিএনপি সমর্থিত মনোনয়ন প্রত্যাশী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ থেমে নেই। ইতিমধ্যে ধানের শীষের প্রার্থী হওয়ার জন্য স্বাভাবিকভাবেই নাম আসছে ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল করিমের। এছাড়া মাঠে-ময়দানে চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপি নেতা ও বিগত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী প্রার্থী সাবেক মেম্বার মোহাম্মদ হান্নান সিদ্দিকী, ২নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি বর্তমান মেম্বার সিরাজুল ইসলাম ও সাবেক ইউনিয়ন সভাপতি মোসলেহ উদ্দীন চৌধুরী। বিএনপি ও জোট ঘরানার সাধারণ নেতাকর্মীদের অভিমত জেলার অন্যান্য উপজেলায় তপশীল ঘোষণার অনেক পূর্বেই বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রার্থীর পক্ষে মাঠে ময়দানে কাজ করার নির্দেশ দেয় উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ। কিন্তু রহস্যজনকভাবে বিএনপির ঘাটি হিসাবে খ্যাত রশিদ নগর ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষের প্রার্থী কে হচ্ছেন তা আজ তপশীল ঘোষণার দিন পর্যন্ত প্রকাশ করেনি দায়িত্বপ্রাপ্তরা।

এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে কথা হলে জানা যায়, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে উপজেলা নেতৃবৃন্দ প্রার্থী মনোনয়ন দেবেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত তৃণমূলের মতামত নেয়া তো দুরের কথা, নির্বাচন সংক্রান্ত কোন আলোচনা বা পরামর্শও করেনি ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। তাই তারা হতাশার সুরে বলেন, তাদের সাথে যোগাযোগ বা পরামর্শ না করে কাউকে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হলে অধিকাংশ তৃণমূলের কর্মীরা ঐ প্রার্থী থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী দাড় করানোর দিকে ধাবিত হতে পারে। অপরদিকে ইউনিয়ন বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুরে নেতাকর্মীরা বলেন, কাউন্সিলের ২ মাস পরেও ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটি গঠন তো দূরের কথা, কোন প্রকার মত বিনিময় বা যোগাযোগ ও রক্ষা করেনি তারা। তাই আগামী নির্বাচনে সাধারণ ভোটার ও কর্মীদের মতামত ছাড়া কেউ ধানের শীষের একক প্রার্থীতার মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখলে তা চরম আত্মঘাতি হতে পারে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন। এজন্য তারা শেষ মুহুর্তে হলেও তৃণমূলের মতামত নিয়ে যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন দিয়ে ধানের শীষের জয় ছিনিয়ে নিতে নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্বপ্রাপ্তদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

উপরোক্ত অভিযোগের বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক আজুর সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, তিনিও জানেন না বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের একক প্রার্থী কে? প্রার্থীতার বিষয়ে ইউনিয়ন ও তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ এখনো ধুয়াশায় থাকায় সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে বলে জানান। মনোনয়ন প্রত্যাশী মেম্বার সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, বেশ কিছুদিন পূর্বে উপজেলা নেতৃবৃন্দ তাকে ডেকে নির্বাচন করবেন কিনা জানতে চান। তিনি সম্মতি প্রকাশ করেন। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছেন চারজনকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে তালিকাভুক্ত করলেও এখনো পর্যন্ত আর কোন কিছু তারা অবগত হননি।

পাঠকের মতামত: