ঢাকা,মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ চেয়ারম্যান মিরান নামে-বেনামে রয়েছে অঢেল সম্পদ

স্টাফ রিপোর্টার. চকরিয়া ::
রিক্সার পার্টস ব্যাবসায়ী ও হারবাং রিক্সা শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি থেকে ইউপি চেয়ারম্যান হয়েছেন হারবাং ইউপির বর্তমান মিরানুল ইসলাম মিরান। ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাতারাতি বনেছেন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। বিগত পাঁচ বছরে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন মা-মেয়েকে রশি বেঁধে নির্যাতনকারী ওই চেয়ারম্যান মিরান। কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের সেই চেয়ারম্যান মিরানুল মিরানের সম্পদের খুঁজ নিতে গিয়ে মিললো পিলে চমকারমত তথ্য।

জানাগেছে, চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরান একদিকে হারবাং ইউপির চেয়ারম্যান, অন্যদিকে সরকারি দল আওয়ামীলীগের বর্তমান ইউনিয়ন সভাপতি। ফ্রিডম পার্টির সাবেক এ নেতা আকষ্মিক ক্ষমতার মালিক হয়ে যাচ্ছে-তাই করেন ক্ষমতার অপব্যবহার। দখল-বেধখলের কাজ করে বিগত সাড়ে চার বছরে তিনি পৌনে ১‘শ একর জমির মালিক বনেছেন বলেও জানা গেছে।

হারবাং বনবিটের ৫ একর সংরক্ষিত বনভূমি দখল করে তিনি নির্মাণ করেছেন ১টি মার্কেট ও ৭টি ঘর। তার রয়েছে দুইটি মাইক্রোবাস। এছাড়া নামে-বেনামে তার রয়েছে ২১ একর জমি ও বনবিভাগের ৭ একর রিজার্ভ জমি। নিজের নামে একটি রাইচ মিল ও স-মিল বসিয়েছেন চেয়ারম্যান মিরান। গত সাড়ে চার বছরে তিনি হয়েছেন এসব সম্পদের মালিক ।

এলাকাবাসী জানায়, ২০১৬ সালে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পূর্বে তার শুধুমাত্র একটি রিক্সার পার্টসের দোকান ছাড়া তেমন কোন আয়ের উৎস ছিলনা বললে চলে। দলীয় প্রতিক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যান তিনি। হারবাং স্টেশনের পূর্বপাশে মহাসড়কে লাগোয়া বনবিভাগের ৫ একর জমি দখল করে ২টি মার্কেট ও ৭টি বাড়ি নির্মাণ করেছেন তিনি। ওইসব বাড়ি এখন ভাড়াও দিয়েছেন তিনি।

একইভাবে লামা উপজেলার ফাইতংয়ের ধুইল্যাছড়ি এলাকায় ক্রয় করেছেন ২০ একর জমি। এছাড়া শান্তিনগর এলাকায় ৫ একর, মসজিদ মুরায় ২ একর রিজার্ভ বনভূমি ও হারবাং স্টেশন এলাকায় জুনু মেম্বারের ৫টি দোকানও তিনি অবৈধভাবে দখল করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ।

অভিযোগে জানা যায়, দোহাজারী-কক্সবাজার রেল লাইনের জন্য হারবাং এলাকার অধিগ্রহণ করা জমির মালিকদের কাছ থেকে পাওয়ার অব এটর্নি বাবদ স্টাম্পে স্বাক্ষর দিতে আদায় করেছেন প্রতিলাখে ২ হাজার টাকা । তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কোতয়ালী থানায় হত্যা-চেষ্টা মামলা, হারবাংয়ের খাদেম হত্যা-চেষ্টা মামলা ও মা-মেয়েকে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের মামলা রয়েছে।

পাঠকের মতামত: