ঢাকা,মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

মাতামুহুরী নদীতে শ্যালো মেসিনে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন: শতাধিক বসতবাড়ি ভাঙনের মুখে

স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া ::
প্রবাহমান মাতামুহুরী নদীর চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যার চর, কাকারা ও কৈয়ারবিল অংশে নিয়ম-নীতির তুয়াক্কা না করে নদীতে শ্যালো মেসিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করায় নদীর তীরের শতাধিক বসতবাড়ি নদী ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। নদীতে হেলে পড়েছে একটি মাদ্রাসা ও ১টি মসজিদ। প্রভাবশালী মহল গায়ের জোরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিনরাত বালু উত্তোলন করলেও দেখার যেন কেউ নেই।

সরজমিনে দেখা গেছে, প্রবাহমান মাতামুহুরী নদীর লক্ষ্যারচর ও কৈয়ারবিল অংশের মাঝামাঝি লক্ষ্যারচর জেলে পাড়ায় জেলেপাড়া জামে মজিদের নিকটে শ্যালো মেসিন বসানো হয়েছে। ওই মেসিন দিয়ে দিনরাত ধরে উত্তোলন করে যাচ্ছে বালু। স্থানীয় কৈয়ারবিল ইউনিয়নের জনৈক ফোরকানের মালিকানাধীন ওই মেসনিটির পাহারায় থাকেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। একইভাবে স্থানীয় আরও তিন প্রভাবশালী ব্যক্তি অবৈভাবে শ্যালো মেসিন দিয়ে দিনরাত বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। যা প্রশাসনের লোকজন সরজমিনে গেলে প্রমান মিলবে।

স্থানীয় লোকজন জানান, জেলা পাড়া মসজিদের পাশে বসানো মেসিনটির মালিকের কাছ থেকে মাসুহারা নেন এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। ওই প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় চলছে দিনরাত বালু উত্তোলনের কাজ। এ দিকে এটি ছাড়াও নদী থেকে শ্যালো মেসিন বসিয়ে আরও তিন প্রভাবশালী ব্যক্তি বালু উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ উঠছে । বিরামহীন ও নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় তীব্র নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।

লক্ষ্যারচরে বসতবাড়ির নিকটে পৌছেছে নদী ভাঙ্গন । অপরদিকে কৈয়ারবিলের দ্বিপকুলেও নদী ভাঙন তীব্র আকার দেখা গেছে। বিশেষ করে যত্রতত্র ও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে এ অবস্থা বলে দাবী করছেন স্থানীয় লোকজন।

লক্ষ্যারচর ইউপির চেয়ারম্যান জিএম কাইছার জানান, পরিকল্পিত-অপরিকল্পিত যা-ই হউক, কোনভাবে বালু উত্তোলন বৈধ নয়, পারলে সরকারি কাজে জন্য ঠিকাদার যারা তারা পারবে, অন্য কেউ বালু উত্তোলনের সুযোগ নেই। তিনিও বলেন, যত্রযত্র বালু উত্তোলনের কারণে মাতামুহুরী নদীর লক্ষ্যাচরের একটি অংশ নদীন তল দেশে পড়ার আশংকা রয়েছে।

পাঠকের মতামত: