ঢাকা,শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

চকরিয়ায় হারবাং ইউপি চেয়ারম্যানকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ

নির্যাতনের শিকার মা ও তাঁর দুই মেয়ে। ইনসেটে হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

নির্যাতিত ভিকটিম পারভীন আক্তার বাদি হয়ে মঙ্গলবার ২৫ আগস্ট চকরিয়া থানায় মামলা করলেও গেল তিনদিনেও অধরা রয়ে গেছেন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের আলোচিত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মিরানুল ইসলাম মিরান। অবশ্য পুলিশ বলছে, মামলাটি রুজু হবার পর থেকে আত্মগোপনে চলে গেছেন ইউপি চেয়ারম্যান। তারপরও মা-মেয়েকে নির্যাতনের আলোচিত মামলার আসামী চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করতে মাঠে কাজ করছেন পুলিশের কয়েকটি টিম।

চকরিয়া থানায় পুলিশ জানিয়েছেন, মামলাটি রের্কড হবার পর থেকে চেয়ারম্যানের সম্ভাব্য অবস্থান নিশ্চিত করতে পুলিশ কয়েকদফা ইউপি চেয়ারম্যানের বসতবাড়ি ও হারবাং ইউনিয়ন পরিষদে অভিযান চালিয়েছে। সেখানে ব্যাপক তল্লাশি চালানোর পরও তাকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে নির্যাতনের ঘটনায় মা-মেয়ের সাথে গ্রেফতার হওয়া ভিকটিম পারভীন আক্তারের ছেলে এমরান ও সিএনজি চালক মোহাম্মদ ছুট্টু এখনও জেলহাজতে রয়েছেন। তারা এখনো জামিন পাননি। আগামী রোববার বা সোমবারের মধ্যে চকরিয়া উপজেলা জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবি এডভোকেট ইলিয়াছ আরিফ।

এডভোকেট ইলিয়াছ আরিফ বলেন, গরু চুরির অপবাদে নিযার্তনের শিকার মা পারভীন বেগম ও তার দুই মেয়ে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। মঙ্গলবার বিকালে ক্ষতিগ্রস্থ হিসেবে মা পারভীন বেগম হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামকে প্রধান আসামী ও তার তিন সহযোগির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু পুলিশ ইচ্ছা করলে যে কোন সময় আসামীদের গ্রেফতার করতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা কয়েকজন আইনজীবি দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেফতার করতে চকরিয়া থানার ওসিকে জানিয়েছি। ওসি সাহেব গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছেন। এবিষয়ে উচ্চ পর্যায়ে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি গুলো দ্রুত সময়ে রির্পোট পেশ করবেন বলে আশা করছেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আলোচিত মা-মেয়ের নিযার্তনের ঘটনায় গঠিত দুটি তদন্ত কমিটি দুয়েক দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন। চকরিয়া উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেটের নির্দেশে চকরিয়ার সার্কেল এএসপি কাজী মতিউল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির মেয়াদ আগামী ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রয়েছে। কমিটির প্রধান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রটি নিশ্চিত করেছেন।

অপরদিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান কক্সবাজার স্থানীয় সরকারের পরিচালক ও উপসচিব শ্রাবন্তী রায় প্রতিবেদন দিতে আরও সময় বাড়িয়েছেন। বর্তমানে ওই কমিটিও তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসি মো: হাবিবুর রহমান স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেছেন, মামলাটি রুজু হবার পর থেকে আত্মগোপনে চলে গেছেন ইউপি চেয়ারম্যান। তারপরও মা-মেয়েকে নির্যাতনের আলোচিত মামলার আসামী চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামকে গ্রেফতার করতে মাঠে কাজ করছেন পুলিশের কয়েকটি টিম।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে চেয়ারম্যানের সম্ভাব্য অবস্থান নিশ্চিত করতে পুলিশ কয়েকদফা ইউপি চেয়ারম্যানের বসতবাড়ি ও হারবাং ইউনিয়ন পরিষদে অভিযান চালিয়েছে। সেখানে ব্যাপক তল্লাশি চালানোর পরও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে আমাদের চেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে। ##

 

পাঠকের মতামত: