শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার ॥
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার জেলার ৪টি সংসদীয় আসন থেকে ২৮ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে লড়াই করবেন। এর মধ্যে বিভিন্ন দলের প্রার্থী রয়েছেন ২৫ জন, এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন নারীসহ ৩ জন। কক্সবাজার জেলার ৪ টি সংসদীয় আসনে ২৮ জন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। প্রতীক পাওয়ার পর সোমবার বিকাল থেকে স্ব স্ব নির্বাচন এলাকায় আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। কক্সবাজার ৪টি সংসদীয় আসনে জাপার প্রার্থী রয়েছে। তিনটি আসনে রয়েছে বিএনপি প্রার্থী। এই চারটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লড়াইয়ে ভাগ বসাতে চায় জাতীয় পার্টিও প্রার্থী।
কক্সবাজার-২ (কুতুবদিয়া-মহেশখালী) আসনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিও প্রার্থী থাকলেও বিএনপির কোন প্রার্থী নেই। জামায়াত নেতা ও সাবেক সাংসদ এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বিএনপি থেকে মনোনয়নের আশা করেও না পেয়ে এবার লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছে। ফলে এই আসনটিতে
আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক ও জামায়াত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সাংসদ এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ মধ্যে ভোটের লড়াইয়ে ভাগ বসাতে চায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মহিবুল্লাহ। এছাড়াও মহাজোট তথা আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে না পাওয়া আর্ন্তজাতীয় পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. আনছারুল করিমও গণফ্রন্টের হয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। এই আসনে চার হেভিওয়েট প্রার্থী নিয়ে সাধারণ মানুষ অনেকটা বিপাকে পড়ে যাচ্ছে।
কক্সবাজার-২ (কুতুবদিয়া-মহেশখালী) আসন থেকে ৯ জন প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন। তাঁরা হলেন, আওয়ামীলীগ তথা সরকার দলীয় প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক (নৌকা) , জাতীয় পার্টি থেকে মো. মহিবুল্লাহ (লাঙ্গল), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট থেকে আবু ইউসুফ মো. মনজুর ( মোমবাতি), গণফ্রন্ট থেকে আনসারুল করিম (মাছ), স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সাংসদ এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ (আপেল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর জসিম উদ্দীন (হাতপাখা), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ থেকে মো. শহীদুল্লাহ (হারিকেন), ইসলামীক ফ্রন্ট বাংলাদেশ থেকে মো. জিয়াউর রহমান (চেয়ার) ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশ থেকে শাহেদ সরওয়ার (কুলা)।
কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে ২০০৮ সালে মোট ভোটার ছিলেন ২ লাখ ২৫ হাজার ৮০৫ জন। বর্তমানে এ আসনে ভোটার ২ লাখ ৯৬ হাজার ১৭৭ জন। সে হিসেবে এবার ভোটার বেড়েছে ৭০ হাজার ৩৫২ জন। ২০০৮ সালে এ আসন থেকে জামায়াতের প্রার্থী হামিদুর রহমান আযাদ জয়ী হয়েছিলেন মাত্র ১৭ হাজার ২৭ ভোটের ব্যবধানে। হামিদুর রহমান আযাদ পান এক লাখ ৩ হাজার ৯৭১ ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আওয়ামী লীগের ড. আনসারুল করিম পান ৮৬ হাজার ৯৪৪ ভোট। ২০১৪ সালে এ আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের আশেক উল্লাহ রফিক। এবারও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রকাশ:
২০১৮-১২-১২ ১০:২৬:২৭
আপডেট:২০১৮-১২-১২ ১০:২৬:২৭
- চকরিয়া হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ
- অবাঞ্চিত ঘোষণা নব-গঠিত মাতামুহুরী আওয়ামী লীগের
- আজ ২৯ এপ্রিলের ভয়াবহতা এখনও ভুলেনি উপকূলবাসী
- সোহেল,জনি,রাজ্জাক ও দেলোয়ার চেয়ারম্যান নির্বাচিত: একটিতে ফলাফল নিয়ে ধোঁয়াশা…
- চকরিয়া ভরামুহুরীতে বাড়ি নির্মাণে বাঁধা হামলা: নারীসহ আহত ৩, রড সিমেন্ট ইট লুট
- চকরিয়ায় ফিসিং বোট তৈরীর হিড়িক: ব্যবহার হচ্ছে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের চোরাই মাদার ট্রী
- চকরিয়ায় বাড়ির ছাদে উঠে আম পাড়তে গিয়ে পা-পিছলে পড়ে গৃহবধূর মৃত্যু
- চকরিয়ায এমপি ইবরাহীমের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
- চকরিয়ায় কৃষক প্রশিক্ষণ ও মাঠ দিবস পালিত
- চকরিয়াতে বৃষ্টির জন্য তপ্ত রোদে কাঁদলেন মুসল্লীরা
- কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, শহরজুড়ে উত্তেজনা
- রামুতে পিতা-পুত্রকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা
- চকরিয়ায় মহাসড়কে তেলবাহী ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক যুবক নিহত, দুইজন আহত
- চকরিয়ায় পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদের গোলাগুলি কাটা বন্দুক উদ্ধার, নারীসহ আহত ৫
- চকরিয়ায় বনের ভেতরে লাকড়ি কুড়াতে গিয়ে বন্যহাতির আক্রমণে নারীর মৃত্যু
- পেকুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
- চকরিয়ার প্রায় দেড়শ বছরের ঐতিহ্যবাহী ৩ গম্বুজ মসজিদের সংস্কার জরুরী
- চকরিয়াতে বৃষ্টির জন্য তপ্ত রোদে কাঁদলেন মুসল্লীরা
- চকরিয়া মাতামুহুরী নদীতে মাছের ঝাঁক তৈরিকালে পানিতে ডুবে দুই যুবকের মৃত্যু
- চকরিয়ার হত্যা মামলার ৭ আসামি ফেনী থেকে গ্রেপ্তার
- চকরিয়ায় কৃষক প্রশিক্ষণ ও মাঠ দিবস পালিত
- কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, শহরজুড়ে উত্তেজনা
পাঠকের মতামত: