ইমাম খাইর, কক্সবাজার ::
কক্সবাজারে ডিলারদের নামে বরাদ্দের সরকারী সার অধিক দামে তামাক চাষে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। অসাধু ডিলারদের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার সার যাচ্ছে পার্বত্যজেলা বান্দরবানসহ বিভিন্ন জায়গার তামাক চাষিদের কাছে। নয়-ছয় করা হচ্ছে অতিরিক্ত চাহিদাপত্র দিয়ে বরাদ্দ পাওয়া নন-ইউরিয়া সারে। এই কেলেঙ্কারীতে একটি সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছে। সেই চক্রে বিএডিসি ও বিসিআইসির কয়েকজনের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। জালাল উদ্দিন নামে একজন ডিলার বরাদ্দকৃত সার বিতরণ নিশ্চিত করতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ ফার্টলাইজার এসোসিয়েশন টেকনাফ উপজেলা ইউনিটের সভাপতি।
জালাল উদ্দিনের অভিযোগ, উপজেলা ভিত্তিক নিয়মিত বরাদ্দের সরকারী সার সঠিকভাবে কৃষকদের মাঝে বিতরণ হলে অতিরিক্ত সারের প্রয়োজন হয়না। এরপরও অতিরিক্ত চাহিদা দেখিয়ে আনা সার নিয়ে দুর্নীতি করছে কিছু লোক। রামু হয়ে লামা, বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকার তামাক চাষিদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। গোপনে পকেট ভারি করছে একটি চক্র। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রান্তিক কৃষকেরা।
তার অভিযোগ, বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন কক্সবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আলম সার কেলেঙ্কারীতে জড়িত। তিনি অতিরিক্ত নন-ইউরিয়া (টিএসপি, ডিএপি, এমওপি) সার প্রয়োজনের মিথ্যা তথ্য দিয়ে জেলা প্রশাসকের সুপারিশে মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা অতিরিক্ত দামে তামাকচাষিদের কাছে বিক্রি করেন। মোহাম্মদ আলমের সাথে গোদাম কর্মকর্তার ‘গোপন খাতির’ রয়েছে বিধায় ডিলারের যোগসাজসে সারগুলো সরাসরি ভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায়। তার কারণে কক্সবাজারের কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছে। বদনাম হচ্ছে সরকারের।
অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলমের কাছে জানতে চাইলে উত্তর দেন, তামাক চাষ শুরু হতে আরো ৩ থেকে চার মাস সময় আছে। একটি পক্ষ মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সার পাচারের অভিযোগ সত্য নয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনজুরুল ইসলাম জানান, সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত চাহিদাপত্রের আলোকে আবেদনপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করে সার বরাদ্দ দেন। বরাদ্দ পাওয়া সার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গোদাম থেকে সংশ্লিষ্ট ডিলাররা উত্তোলন করে।
তিনি জানান, অতিরিক্ত চাহিদার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৪০০ টন সার বরাদ্দ দেয় মন্ত্রণালয়। সেখান থেকে চকরিয়ার জন্য ৬০০, কুতুবদিয়া ও মহেশখালীর জন্য ৪০০ টন করে সার বরাদ্দ দেয়া হয়।
বিএডিসি কক্সবাজার এর উপসহকারী পরিচালক (সার) ইকবাল বাহার জানান, সার উত্তোলনের সময়সীমা আগামী জুন পর্যন্ত। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট ডিলারগণই গোদাম থেকে সার উত্তোলন করে। তাতে অনিয়মের সুযোগ নেই। ইতোমধ্যে অনেকেই সার উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন। তবে, কে কে নিয়েছেন তার সঠিক তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন উপসহকারী পরিচালক ইকবাল বাহার।
প্রকাশ:
২০১৮-১০-১২ ১২:৪৪:৪১
আপডেট:২০১৮-১০-১২ ১২:৪৫:১৫
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে সাঈদী
- রামুতে পাহাড়ি ছড়ায় গোসল করতে গিয়ে ২ শিশুর মৃত্যু
- চকরিয়ায় ধান ক্ষেত থেকে লম্বা অজগর সাপ উদ্ধার, পরে অবমুক্ত
- পেকুয়ায় চেয়ারম্যান পদে চমক দেখাতে পারে নারী প্রার্থী রুমানা আক্তার, গণসংযোগে গণজোয়ার
- চকরিয়ায় শাখাখালের তীর থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ১১৪ টি ভোট কেন্দ্রে মোট ৩ লক্ষ ৬১ হাজার ১০৩ জন ভোটা
- রামুতে গাড়িযোগে পাচারকালে ২০ হাজার ইয়াবাসহ ২ যুবক আটক
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: লড়াই চলছে শেয়ানে শেয়ানে
- চকরিয়া-পেকুয়ায় দুই লবণ চাষী নিহত, উড়ে গেছে বসতঘর
- চকরিয়ায় চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- চকরিয়ায় প্রভাবশালীর কাছে জিম্মি অসহায় পরিবার
- পেকুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কে কোন প্রতীক বরাদ্দ পেলেন
- চকরিয়ায় প্রভাবশালীর কাছে জিম্মি অসহায় পরিবার
- চকরিয়ায় চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- ব্যাপক উৎসাহ—উদ্দীপনায় সাংবাদিক সংসদের এক যুগপূর্তি উৎসব সম্পন্ন
- চকরিয়া-পেকুয়ায় দুই লবণ চাষী নিহত, উড়ে গেছে বসতঘর
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: লড়াই চলছে শেয়ানে শেয়ানে
- পেকুয়ায় চেয়ারম্যান পদে চমক দেখাতে পারে নারী প্রার্থী রুমানা আক্তার, গণসংযোগে গণজোয়ার
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ১১৪ টি ভোট কেন্দ্রে মোট ৩ লক্ষ ৬১ হাজার ১০৩ জন ভোটা
- চকরিয়ায় শাখাখালের তীর থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- রামুতে গাড়িযোগে পাচারকালে ২০ হাজার ইয়াবাসহ ২ যুবক আটক
- চকরিয়ায় ধান ক্ষেত থেকে লম্বা অজগর সাপ উদ্ধার, পরে অবমুক্ত
পাঠকের মতামত: