ঢাকা,মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় পাউবো’র স্লুইচ গেইটের দায়িত্ব প্রদানে ধীরগতির অভিযোগ

ovijogএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ও ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের পানি উন্নয়ন বোর্ড়ের একটি স্লুইচ গেইটের রক্ষণাবেক্ষনের দায়ীত্ব দিতে বিলম্ব হওয়ায় মৎস্যজীবিদের ৩০লাখ টাকার ক্ষতি শিকার হতে হ”েছ। এতে পশ্চিম বড় ভেওলা, ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের শতাধিক মৎস্যজীবি’র পরিবারের হতাশা ও অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে।

অভিযোগে উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি মনিরুল আলম জানান; তাদের সমিতির নামে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ১২০ একরের ঢেমুশিয়া জল মহালটি ২০১৪ সালের ২৩ জুলাই তিন বছরের জন্য ইজারা নেয়। ইজারা নেয়ার পরদিনই ওই জল মহালটি মৎস্যজীবি সমিতিকে দখল বুঝিয়ে দেয়ার জন্য চকরিয়া সহকারী কমিশনার(ভূমি)কে নির্দেশও প্রদান করা হয়। কিš‘ ওই জলমহালের পাশে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড়ের নিয়ন্ত্রিত ঢেমুশিয়া বেড়িবাঁধের উপর স্লুইচ গেটটি রক্ষাণাবেক্ষনের দায়ীত্ব প্রদানে প্রায় ৬মাস বিলম্ব হয়ে যায়। এতে করে পশ্চিম বড় ভেওলা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এ জলমহালটি ইজারা নেয়ার পরও ওই বছর মাছের চাষ করতে পারেনি। তারা তিন বছরের জন্য জলমহাল ইজারা নিয়ে মাত্র দুই বছর চাষ করতে পেরেছে। এ জন্য মৎস্যজীবিরা আরও এক বছর ইজারার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য যথাযথভাবে আবেদন করেন। ওই আবেদনের পর কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে তারা এ বছর জলমহালটিতে প্রায় ৩০লাখ টাকা বিনিয়োগ করে মাছের চাষ করেছে। মাছ চাষের মাঝামাঝি সময়ে এসে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহলের কারসাজিতে জলমহালটি আবার নতুন ইজারা দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিš‘ মাছ পরিপক্ষ না হওয়ায় মৎস্যজীবিদের বিনিয়োগ করা ৩০লাখ টাকা তোলে আনা যা”েছ না।

ভুক্তভোগী মৎস্যজীবি সমিতির নেতারা জানায়, এ অব¯’ায় জলমহালটি নতুন করে ইজারা দেয়া হলে মৎস্যজীবিদের ৩০লাখ টাকার ক্ষতি হবে। একটি প্রভাবশালী মহল জলমহালটি ইজারার নামে ভাগিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা চালা”েছ। এটি করা হলে প্রয়োজনে তারা এই জলমহালটিতে বিনিয়োগ করা ৩০লাখ টাকা তুলে আনতে তাদের আরও সময় দেয়ার জন্য আন্দোলনে যাবেন। রাস্তায় নেমে আমরণ অনশন করবেন। সভাপতি মনিরুল আলম তাদের ইজারার সময় বাড়ানোর আবেদন যদি সুবিবেচনা না করা হয় তাহলে তারা উ”চ আদালতে যাবেন#

পাঠকের মতামত: