কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের মিয়াজীর ঘোনা এলাকায় খালে বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে প্রায় ১ হাজার ৮০০ একর জমিতে বোরো চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কৃষকদের অভিযোগ, খালের মিয়াজীর ঘোনা এলাকায় বাঁধ দিয়ে জমি শুকিয়ে রেখে ইটভাটায় ফসলি জমির মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
কৃষকেরা জানান, বারবাকিয়া ইউনিয়নের মৌলভীবাজারের বড় খাল থেকে সেচ–সুবিধার জন্য শত বছর আগে মিয়াজীর ঘোনা হয়ে ছলখাইয়্যা কালভার্ট পর্যন্ত কৃষকেরা একটি খাল কাটেন। বর্তমানে সেটিতে জোয়ার-ভাটা হয়। শুষ্ক মৌসুমে টৈটং ইউনিয়নের নাপিতখালী রাবার ড্যামে পানি আটকে বারবাকিয়া ও টৈটং ইউনিয়নের অন্তত তিন হাজার একর জমিতে বোরো চাষ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ছলখাইয়্যা কালভার্ট থেকে একটু পশ্চিমে খালের মধ্যে পরপর দুটি বাঁধ দেওয়া হয়েছে। একটি থেকে আরেকটির দূরত্ব আনুমানিক ৩০০ ফুট। বাঁধ দেওয়ার ফলে মিয়াজীর ঘোনা, কাদিমাকাটা ও সোনাইছড়ি এলাকায় খালে পানির প্রবাহ নেই। কৃষকেরা বোরো চাষে সেচ দিতে পারছেন না।
কৃষক সাকের আহমদ, মো. আব্বাস, ছৈয়দ নুর, মো. নেছার, আবুল বশর ও ফরিদ আহমদ জানান, চলতি বোরো মৌসুমে মিয়াজীর ঘোনা খালের পানি দিয়ে বোরো চাষ করতে অন্তত দেড় হাজার কৃষক মাঠে নামেন। কিছুদিন আগে রাতের আঁধারে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কেটে খালের দুই অংশে দুটি বাঁধ দেন ইটভাটার মালিক সাহাবউদ্দিন। এতে বন্ধ হয়ে যায় পানি চলাচল।
কৃষকেরা আরও বলেন, গত ২৪ জানুয়ারি মিয়াজীর ঘোনা এলাকার কৃষকেরা একত্র হয়ে একটি বাঁধের কিছু অংশ কেটে দেন। ওই সময় ভাটার মালিক সাহাবউদ্দিন পুলিশের কাছে অভিযোগ দেন।
জানতে চাইলে পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিপুল চন্দ্র রায় বলেন, কৃষকেরা বাঁধ কেটে দিয়ে সাহাবউদ্দিন তাঁর মালিকানাধীন ইটভাটার ক্ষতি করেছেন, এমন দাবি করে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে গত শনিবার দুই পক্ষের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল কিন্তু এক পক্ষ না আসায় হয়নি। এখন দুই পক্ষকে নিয়ে আগামী শুক্রবার বৈঠকে বসার দিন ধার্য আছে।
টৈটং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘সাহাবউদ্দিন ফসলি জমি ও লোকালয়ে ইটভাটা স্থাপন করে এমনিতে ক্ষতির সম্মুখীন করছেন স্থানীয়দের। এখন নতুন করে শুষ্ক মৌসুমে বোরোর আবাদ অনিশ্চয়তায় ফেলে দিয়েছেন।’ চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘তিনি (সাহাবউদ্দিন) নিজে বাঁধ সরিয়ে না নিলে কৃষকদের নিয়ে আমিই সেই বাঁধ কেটে দেব।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইটভাটার মালিক সাহাবউদ্দিন বলেন, ‘ইটভাটায় মাটি নিতে আমি জমি ভাড়া নিয়েছি। আমার জমির ওপর বাঁধ দিয়েছি। ওখানে কারও ক্ষতি হচ্ছে না। শত্রুতাবশত কিছু ব্যক্তি ঝামেলা পাকাচ্ছেন। তাঁরা বাঁধের কিছু অংশ কেটে দিয়ে আমার ক্ষতি করেছেন। আমি থানা-পুলিশের আশ্রয় নিয়েছি।’
পেকুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান রব্বানী বলেন, ‘এ রকম খালের দুই পাশে অনেকের জমি আছে। তাই বলে কেউ খালে বাঁধ দিতে পারবে না। কৃষকেরা আমাকে জানানোর পর বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেছি। শিগগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রকাশ:
২০১৭-০২-০২ ০৪:২৮:১৯
আপডেট:২০১৭-০২-০২ ০৪:২৮:১৯
- চকরিয়ায় ধান ক্ষেত থেকে লম্বা অজগর সাপ উদ্ধার, পরে অবমুক্ত
- পেকুয়ায় চেয়ারম্যান পদে চমক দেখাতে পারে নারী প্রার্থী রুমানা আক্তার, গণসংযোগে গণজোয়ার
- চকরিয়ায় শাখাখালের তীর থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ১১৪ টি ভোট কেন্দ্রে মোট ৩ লক্ষ ৬১ হাজার ১০৩ জন ভোটা
- রামুতে গাড়িযোগে পাচারকালে ২০ হাজার ইয়াবাসহ ২ যুবক আটক
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: লড়াই চলছে শেয়ানে শেয়ানে
- চকরিয়া-পেকুয়ায় দুই লবণ চাষী নিহত, উড়ে গেছে বসতঘর
- চকরিয়ায় চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- চকরিয়ায় প্রভাবশালীর কাছে জিম্মি অসহায় পরিবার
- পেকুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কে কোন প্রতীক বরাদ্দ পেলেন
- ব্যাপক উৎসাহ—উদ্দীপনায় সাংবাদিক সংসদের এক যুগপূর্তি উৎসব সম্পন্ন
- চকরিয়া ভরামুহুরীতে বাড়ি নির্মাণে বাঁধা হামলা: নারীসহ আহত ৩, রড সিমেন্ট ইট লুট
- চকরিয়ায় উপকুলের সাগর চ্যানেলের ট্রলার থেকে ৩৮ কোটি টাকা মূল্যের ১২ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার
- সোহেল,জনি,রাজ্জাক ও দেলোয়ার চেয়ারম্যান নির্বাচিত: একটিতে ফলাফল নিয়ে ধোঁয়াশা…
- অবাঞ্চিত ঘোষণা নব-গঠিত মাতামুহুরী আওয়ামী লীগের
- চকরিয়া হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ
- আজ ২৯ এপ্রিলের ভয়াবহতা এখনও ভুলেনি উপকূলবাসী
- পেকুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কে কোন প্রতীক বরাদ্দ পেলেন
- চকরিয়ায় প্রভাবশালীর কাছে জিম্মি অসহায় পরিবার
- ব্যাপক উৎসাহ—উদ্দীপনায় সাংবাদিক সংসদের এক যুগপূর্তি উৎসব সম্পন্ন
- চকরিয়ায় চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- চকরিয়া-পেকুয়ায় দুই লবণ চাষী নিহত, উড়ে গেছে বসতঘর
পাঠকের মতামত: