ঢাকা,বুধবার, ১ মে ২০২৪

চকরিয়াসহ জেলায় বার্মিজ সিগারেটে বাজার সয়লাব

SIGARETনিউজ ডেস্ক  ::

বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে আসা বার্মিজ সিগারেটে সয়লাব হয়ে পড়েছে চকরিয়া, পেকুয়া, টেকনাফ, কক্সবাজার সদর ও উখিয়ার হাটবাজার ও বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলো। প্রশাসন বা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা শক্ত নজরদারী না থাকায় প্রকাশ্যে মুদির দোকান থেকে শুরু করে  প্রায় প্রতিটি নিত্যপণ্যের দোকানে বিক্রি হচ্ছে নিকোটিন যুক্ত এসব বার্মিজ সিগারেট। সরকার দেশীয় তৈরি সিগারেটের প্যাকেটে ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বাক্যটি উপস্থাপন করার ব্যাপারে যেভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সেভাবে স্থানীয় প্রসাশন বা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা বার্মিজ সিগারেট বাজারজাত করণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এসব অবৈধ সিগারেট বাজার থেকে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল বলে দাবী করছেন সচেতন মহল।

চকরিয়া পৌর সদরের চিরিঙ্গা বাস ষ্টেশনের বিভিন্ন মার্কেটের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীরা জানায়, দেশীয় সিগারেটের চাইতে বেশী জনপ্রিয়তা লাভ করছে মায়ানমার সিগারেটের।  উপজেলার খুটাখালী এলাকার এক ব্যবসায়ী জানায়, অবৈধ ভাবে মায়ানমার থেকে আসা সিগারেট এখন পানের দোকান থেকে শুরু করে প্রায় সিগারেটের দোকানে এ ধরণের সিগারেট পাওয়া যাচ্ছে।

এ দিকে টেকনাফ ও উখিয়া সদরে বার্মিজ সিগারেট বিক্রেতা বেশ কয়েকজনের সাথে আলাপ করা হলে তারা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, যেসব ধুমপায়ীরা আগে দেশীয় সিগারেট পান করতে অভ্যাস্ত ছিল তৎমধ্যে ৮০ শতাংশ ধুমপায়ী এখন বার্মিজ সিগারেটের উপর নির্ভরশীল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী জানান, কমদামে লোভনীয় প্যাকেটজাত বার্মিজ সিগারেটের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে অবৈধ পথে আসা সিগারেট তাদেরকে বাধ্য হয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।

খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, উখিয়া সীমান্তের ডেইলপাড়া, করইবনিয়া ও চাকবৈঠা, বালুখালী, রতমতেরবিল হয়ে এসব বার্মিজ সিগারেটের চালান পাচার হয়ে উখিয়ার বড় বড় ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে খুচরা ব্যবসায়ীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে। এমনকি এসব সিগারেট সড়ক পথে দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে সীমান্তের যেসব এলাকায় বিজিবি ক্যাম্প বা চেকপোষ্ট নাই সেই সব পয়েন্ট ব্যবহার করে চোরা চালানীরা অবৈধ পণ্য সামগ্রী আনা নেওয়ার কারণে বার্মিজ সিগারেটের চালান অনেক সময় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারীর বাইরে থেকে যাচ্ছে বিধায় সিগারেট পাচার আশংকা জনক ভাবে বেড়ে গেছে বলে ব্যবসায়ীরা স্বীকার করেছেন। সীমান্তের তুমব্রু, ঘুমধুম, বালুখালী, পালংখালী ও মরিচ্যা বিজিবির সদস্যরা মাঝে মধ্যে বার্মিজ সিগারেটের চালান আটক করলেও বেশির ভাগ চালান ধরাচোয়ার বাইরে থেকে অনায়সে পাচার হয়ে যাচ্ছে।  কক্সবাজার ১৭ বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্ণেল ইমরান উল্লাহ সরকার জানান, সিগারেট ও ইয়াবা পাচার প্রতিরোধে সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা সক্রিয় রয়েছে। তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন উদ্যোগ নিলে তিনি সব ধরনের সাহায্য সহযোগীতার আশ্বাস দেন তিনি।

 

পাঠকের মতামত: