ঢাকা,মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় নিষিদ্ধ জাটকায় সয়লাব : প্রশাসনের কোন নজরদারী নেই

Chakaria  Picture 22-08-2016মিজবাউল হক, চকরিয়া :

জেলার বৃহৎ মাছের আড়ঁত চকরিয়া উপজেলার ছোয়ারফাঁড়ি ও পৌরশহরের সোসাইটি মাছ বাজারে নিষিদ্ধ জাটকা ইলিশ এখন সয়লাব হয়ে গেছে। সরকার বার বার জাটকা ইলিশ নিষিদ্ধ করলেও একশ্রেণির মুনালোভী মাছ ব্যবসায়ি পৌরশহরের বিভিন্ন বাজারে অবাধে জাটকা ইলিশ বিক্রি করছে। এতে প্রশাসনের কোন ধরণের নজরদারী থাকায় ওইসব ব্যবসায়িরা আরও বেপরোয়া হয়ে জাটকা বিক্রি অব্যাহত রেখেছে।

এদিকে কয়েকজন জেলে জানান, গত কয়েকদিন ধরে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে জাটকা ইলিশ। এনিয়ে বেশ আনন্দে রয়েছে জেলেরা। কারণ দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ইলিশ ধরা পড়ছে। কিন্তু ধরা পড়া ইলিশের আকার খুবই ছোট। তাছাড়া দাম কম হওয়ায় ছোট ইলিশের প্রতি নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতাদের চাহিদা বেশি। এসব জাটকা বিক্রি আইনত দন্ডীয় অপরাধ হলেও তারা ঝুঁকি নিয়ে বিক্রি করছে বাজারে। খুচরা ২০০-৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। অন্য মাছের চেয়েও লাভজনক হওয়ায় জাটকাই বিক্রি করছে বলে জানান একাধিক মাছ ব্যবসায়ি। মাছ ধরার ট্রলার গুলো কারেন্ট জাল ও ইলিশ জাল ব্যবহার করে জাটকা ধরছে। এতে নদীতে এখন আর দেখা মিলছে না বড় আকারের ইলিশ মাছের।

সাগর, নদী ও সকল জলাশয় থেকে জাটকা ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ রাখা ও পরিবহন আইনত দন্ডনীয় অপরাধ হলেও মাছ বাজার গুলোতে সে আইন মানছে না কেউই। চকরিয়ার ছোয়ারফাঁড়ি ও চিরিঙ্গা সোসাইটি মাছ বাজারে অবাধে বিক্রি করছে জাটকা বা ছোট ইলিশ। এতে মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রশাসনের নিরব ভূমিকা পালন করছে।

চকরিয়া উপজেলা মৎস্য বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, আদেশ অমান্যকারীদের দুই বছরের কারাদণ্ডেরও বিধান রয়েছে। তাছাড়া জাটকা ধরা নিষিদ্ধ সময়ে সাত মাস মৎস্য অধিদপ্তর জেলেদের মাসে ৪০কেজি করে চাল দিয়ে থাকে। এরপরও জাটকা রক্ষা করা যাচ্ছে না। অনেক সময় জাটকা বন্ধে অভিযান পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পাওয়া যায় না। এ সুযোগে সাগরে জেলেরা জাটকা মাছ ধরা বন্ধ করছে না। এতে রূপালী ইলিশের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।

পাঠকের মতামত: