ঢাকা,মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

মেহেরনামা মৌজাকে ইউনিয়নে রুপান্তর করতে আইনগত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ

মোঃ ফারুক. পেকুয়া ::  কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নকে পৃথকীকরণ করে মেহেরনামা মৌজাকে ইউনিয়নে রুপান্তরের সম্ভাব্য যাচাই করতে জেলা প্রশাসক কক্সবাজারকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশমতে অনুরোধ করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

গত ২৯ আগস্ট ২০২১ এ উপজেলার মেহেরনামার বাসিন্দা পেকুয়া উপজেলা আ’লীগের সম্মেলন প্রস্তুুতি কমিটির সাবেক সদস্য উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক নাসির বাদশার এক আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ সচিব মোঃ আবু জাফর স্বাক্ষরিত ইউনিয়ন পরিষদ-১ শাখার মাধ্যমে পরিপত্র জারি করা হয়। যার স্বারক নং ৪৬.০০.০০০০.০১৭.৯৯.০০৭.১৫(অংশ-১২)-৭৬৯/১(৫)।

নাসির উদ্দিন বাদশা তার আবেদনে উল্লেখ করেছেন,পেকুয়া সদর ইউনিয়ন বৃহত্তর ইউনিয় বিধায় মেহেরনামা মৌজার ৩৮ হাজার সাধারণ জনগণ নাগরিক সেবা ও
সুবিধা বঞ্চিত হওয়ায় গত ৫ আগস্ট ২০১৯ মেহেরনামা মৌজাকে ইউনিয়নে রূপান্তর করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন। জেলা প্রশাসক আবেদনখানা বিধিমতে ইউনিয়নে রূপান্তরের নিমিতে তথ্য প্রদানের জন্য উপজেলা নিবহী কর্মকর্তা বরাবরে প্রেরণ করিলে তিনি বিধি মতে সকল তথ্য সংগ্রহ করে উল্লেখিত স্বারকে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন,২০০৯ এর ধারা ১১ মোতাবেক প্রেরণ করেন। জেলা প্রশাসক বিধিমতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে ধারস্থ হয়।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, পেকুয়া সদরের মেহেরনামা মৌজাকে ইউনিয়নে রূপান্তর করার অন্যতম কারণ হচ্ছে, জন সাধারণের যোগাযোগ ও অবস্থানগত অসুবিধার সমস্যায় জর্জরিত। বর্তমানে পেকুয়া ইউনিয়নের কার্যাদি বৃহৎ পরিসরে হওয়ায় ইউনিয়ন গ্রাম আদলতে শালিশ বিচারের দীর্ঘ সূত্রুিতা অন্যতম কারণ। বৃহত্তর মেহেরনামার জনগণ নাগরিক সেবাও সুবিধা হতে বঞ্চিত। বর্তমানে মেহেরনামায় একটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি দাখিল মাদ্রাসা তিনটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসা, চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি পিইসির পরীক্ষার কেন্দ্র নিয়ে ৩৮ হাজার মানুষের বসবাস। কিন্তু পরিতাপের বিষয় মেহেরনামার মৌজার নন্দির পাড়ার কিছু অংশ, সৈকত পাড়া, বলিরপাড়া, মোড়ারপাড়া, আলেকদিয়াকাটা ও খাসপাড়ার সাথে উপজেলা ও ইউনিয়নের সাথে সাময়িক যোগাযোগের দুরাবস্থার কারণে প্রশাসনিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ এই এলাকার জনপণ। বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড নেই বললেই চলে এছাড়া সাধারণ নাগরিক মৌলিক অধিফার, স্বাস্থ্য সেবা, মাতৃসেবা, সুচিকিৎসা, শিক্ষা অবকাঠামো যাতায়ত ও আইন শৃঙ্খলা ইত্যাদি সেবা প্রদানের জন্য জন সংখ্যার কারণে বৃহত্তর পেকুয়া ইউনিয়নের মেহেরনামা মৌজার প্রত্যন্ত গ্রামের গণ মানুষের ধারে মৌলিক অধিকারের সেবা পৌছানো সম্ভব হচ্ছে না এবং সেবা বঞ্চিত হয়ে আসছে জনগণ । এমতাবস্থায় পেকুয়া সদর ইউনিয়কে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ১১ মোতাবেক মেহেরনামা মৌজাকে নতুন ইউনিয় গঠন পূর্বক প্রশাসনিক অবকাঠামো রূপান্তর করণের আবেদন জানান।

পাঠকের মতামত: