ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

পাহাড় কেটে ঘর-বাড়ি নির্মাণ, পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা

pahaসুজাউদ্দিন রুবেল :

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে এখন কেবলই ক্ষতচিহ্ন। পাহাড় আর গাছপালা কেটে রোহিঙ্গারা অস্থায়ী বসতি গড়েছিল এসব জায়গায়। সেখান থেকে তাদের সরিয়ে নেয়ার পর ন্যাড়া পাহাড়ে ফুটে উঠেছে ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন। এই মুহূর্তে পাহাড় ও বন উজাড় রোধ করা না গেলে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন পরিবেশকর্মীরা। তবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পুনরায় বৃক্ষরোপণ করা হবে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।

পাহাড়িভূমিতে ছোট গাছ-গাছালির সবুজের এমন সমারোহ কক্সবাজারের উখিয়ার আশপাশের এলাকাকে করেছে হাতির বিচরণ ক্ষেত্র হিসেবে। কিন্তু চিত্র ভিন্ন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার পর গত ২৫ আগস্ট থেকে কক্সবাজারে দল নামে রোহিঙ্গাদের। আর রোহিঙ্গারা বন পাহাড় কেটে যে ভাবে পেরেছে সে ঘর-বাড়ি তৈরি করছে। ফলে অনেক জায়গায় পাহাড়ের অস্তিত্ব নেই। সরকার নির্ধারিত জায়গা রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়ার পর ভেসে ওঠছে ধ্বংসযজ্ঞের চিন্হ। শুধুই পাহাড়ই ক্ষতি হয়নি বিপন্ন হয়েছে এখনকার জীব বৈচিত্র্য।

ওই অঞ্চলের বাসিন্দার জানান, আমার পিছনে যে পাহাড়টা ওখানে আগে ছিলো নারিকেল গাছ.সুপারি গাছ, লেবু বাগান, অনেক ধরনের ফলের বাগান। রোহিঙ্গারা আমাদের সমস্ত গাছ-পালা কেটে ফেলেছে। পরিবেশটা একবারে শেষ,গাছের কোন চিণ্হ নেই।

রোহিঙ্গাদের কারণে যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে তোলা সম্ভব নয়। এখন দ্রুত বনায়নসহ পাহাড়ের নতুন করে বসতি স্থানে নিতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান।

বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দিপু বলেন, ‘বন বিভাগ,পরিবেশ অধিদপ্তর ও পরিবেশের বিভিন্ন সংগঠনের সহযোগিতার মাধ্যমে কক্সবাজারে আগের অবস্থানে পিরে আনা সম্ভব হবে।’

নির্ধারিত তিন হাজার আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরেও আরো আড়াই হাজার একর এলাকাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের কর্মকর্তরা।

কক্সবাজারের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো.আলী কবির বলেন, ‘বালু-খালী ও কতুবখালীর তিন হাজার এলাকায় রোহিঙ্গাদের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্প করা হচ্ছে। আর ওখান থেকে তাদের সরিয়ে নেওয়ার পর আমরা সেখানে আমরা বনায়ন করবো।’

রোহিঙ্গারা শুধু বন কেটে বসতি নয়,তারা রান্না কাজের জন্য বন কেটে যাচ্ছেন।

 

পাঠকের মতামত: