ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়াতে দুই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নামসর্বস্ব অবৈধ হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের নজরদারী নাই

cof

চকরিয়া উপজেলার শাহারবিল ইউনিয়নে গত ২০২৩সালে প্রতিষ্ঠিত আহমেদ হাসান মেমোরিয়াল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এখনো অবৈধভাবে বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছে কর্যক্রম।
হাসপাতালটিতে কোনো সরকারি লাইসেন্স বা অনুমোদন, ভ্যাট, ফায়ার,মাদকদ্রব্যসহ কোনো ধরনের লাইসেন্স নাই ।মাসের শুরুতে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে একটি দল পরিদর্শনে গিয়ে  এসব অনিয়ম সংশোধন ও লাইসেন্স করার জন্য ৩দিনের সময় বেঁধে দিলেও পরবর্তী মাস পেরোলেও অদৃশ্য ইশারায় অবৈধ হাসপাতালটির বিরুদ্ধে কোনোধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে বিগত সময়ে উপজেলায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা ও সিলগালা করা হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা নানারকম প্রশ্ন তুলেছেন । এমন অনেক হাসপাতালের মালিক প্রশ্ন করছেন যে তাহলে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন নরমমের জম,শক্তের ভক্ত? আহমেদ হাসান নামের হাসপাতালটির উদ্যোক্তা চকরিয়া উপজেলার পার্শ্ববর্তী লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মঈনুদ্দিন মোর্শেদ,ও সদ্য বিদায়ী পেকুয়া উপজেলার কর্মকর্তা হয়েও তারা কিভাবে অবৈধ হাসপাতাল চালায়?

স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী দশ শয্যা হাসপাতালের নিম্ন স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত ৩জন চিকিৎসক,৬জন ডিপ্লোমাধারী নার্স থাকার বাধ্যকতা থাকলেও এসবের কিছুই নাই। এই ব্যাপারে প্রতিবেদন প্রকাশের পর গত ১৩ই মার্চ কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন নোবেল কুমার বড়ুয়া নেতৃত্ব চকরিয়াতে বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য বিভাগ। কিছু হাসপাতালকে শাস্তির আওতায় আনলেও কিন্তু সেদিনও অদৃশ্য ইশারায় আহমেদ হাসান মেমোরিয়াল হাসপাতালটি আড়ালে থেকে যায়। কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন ডা: নোবেল কুমার বড়ুয়া ও চকরিয়া উপজেলা  পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শোভন দত্তের কাছে জানতে চাইলে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।

পাঠকের মতামত: