ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

গ্রামেও মিলছে ইয়াবা

সৈয়দুল কাদের :
কক্সবাজারের বিভিন্ন গ্রামে সহজেই মিলছে ইয়াবা। যার ফলে বেড়েই চলেছে ইয়াবা সেবীর সংখ্যা। মাদক সেবীরা ছাড়া সামাজিক ভাবে এটি অপরিচিত হওয়ায় অনেকেই ইয়াবা ব্যবসায় নেমে পড়েছে। যার ফলে ইয়াবার আগ্রাসন রোধ কঠিন হয়ে উঠেছে। সমুদ্র পথে পাচার বেড়ে যাওয়ায় গন্তব্যস্থলে নির্বিঘেœ পৌঁছে যাচ্ছে ইয়াবা।
ইয়াবার ভয়াবহ আগ্রাসন রোধে প্রশাসন বহুমুখী তৎপরতা শুরু করেলেও ঠেকানো যাচ্ছে না ইয়াবার আগ্রাসন। ইয়াবা ব্যবসায়িরা নিত্য নতুন পথে ইয়াবা পাচার করায় সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে ইয়াবা। এটি দীর্ঘদিন দেশের বিভিন্ন জেলায় পাচার হলেও এখন কক্সবাজার জেলার প্রতিটি গ্রামেই ছড়িয়ে পড়ছে ইয়াবা। যার ফলে জেলার প্রতিটি গ্রামেই সৃষ্টি হয়েছে একাধিক ইয়াবা মহাজনের। তারা নির্বিঘেœ খুচরা বিক্রি করছে ইয়াবা।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় মাঝে মধ্যে ছোট-বড় কিছু চালান ধরা পড়লেও পাচারকারী সিন্ডিকেটের নেটওয়ার্ক অক্ষতই আছে বলে প্রচার রয়েছে। রঙিন এ নেশার ট্যাবলেটের নীল ছোবলে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ। ইয়াবা সেবনের মধ্য দিয়ে মাদকাসক্তের সংখ্যা বাড়ছে, সে সঙ্গে বাড়ছে অপরাধ প্রবণতাও। সাগর পথে মাছ ধরা ট্রলারে করে সরাসরি মায়ানমার থেকে বড় বড় ইয়াবার চালান দেশে ঢুকে পড়ছে। চালান আসছে সড়ক পথেও। তবে সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া এসব চালান ধরতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ভয়াল ইয়াবা আগ্রাসনের কাছে প্রশাসন অসহায় হয়ে পড়েছে। সীমান্তে বিজিবির কড়া নজরদারি, সাগরপথে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সতর্ক টহল, সড়ক ও পাহাড়ি পথে র‌্যাব-পুলিশের তল্লাশির মধ্যেও আসছে ইয়াবার চালান।
গত এক সপ্তাহে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ ইয়াবা জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে সম্প্রতি ইয়াবা পাচারের গতি আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খখলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান জোরদার করায় ভিন্ন পথেই পাচার হচ্ছে ইয়াবা। এতে বদরখালী, বাশখালী, আনোয়ারা, চট্টগ্রাম সড়ক ব্যবহার করছে ইয়াবা ব্যবসায়িরা।
চকরিয়ার বদরখালী বাজারের ব্যবসায়ী মোস্তাক আহমদ জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে মাদকসেবীর সংখ্যা বেড়েছে। যার মধ্যে ইয়াবাসেবীর সংখ্যা বেশি। এ এলাকায় সহজেই মাদক ব্যবসায়ীরা ইয়াবা আনতে পারায় তারা এটিকে ইয়াবার জংশন হিসেবে ব্যবহার করছে। ৩০-৪০ জন লোক প্রকাশ্যে বাজারে ইয়াবা ব্যবসা করছে। তাদের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী কালারমারছড়া, শাপলাপুর, হোয়ানক ও মাতারবাড়িতে যাচ্ছে ইয়াবা। এখানে কোনো তল্লাশি না থাকায় সহজেই চলছে ইয়াবা ব্যবসা।
চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ফজলুল করিম জানান, এখন যুব সমাজের হাতে হাতে ইয়াবা। ব্যাপক ভাবে বিস্তার ঘটায় তা বন্ধ করা এখন দুরহ হয়ে উঠেছে। তাই যুব সমাজকে বাঁচাতে ইয়াবা প্রতিরোধের বিকল্প নেই। এটিকে সামাজিক ভাবে প্রতিরোধ করা না হলে আরো ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে ইয়াবার আগ্রাসন।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ডঃ এ কে এম ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন ইয়াবা প্রতিরোধে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। তথ্য পেলেই অভিযান চালানো হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: