ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪

মৌসুমের শুরুতেই পর্যটকের ভিড়, খুশি সেন্ট মার্টিনের ব্যবসায়ীরা

senmartinটেকনাফ প্রতিনিধি :::

মৌসুমের শুরুতেই পর্যটকের ভিড় বাড়ছে কক্সবাজারের প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে। এ নিয়ে খুশি হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁর ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন গড়ে পাঁচ হাজার পর্যটক এখন সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ করছেন। গত ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে সেন্ট মার্টিন সৈকতে দেখা যায়, জাহাজ থেকে পর্যটকেরা জেটি দিয়ে নেমে চলে যাচ্ছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। কেউ কেউ যাচ্ছেন ছেড়াদ্বীপে। অনেকে প্রবাল দেখার আশায় নেমে পড়ছেন সাগরে। বালুর চরে বিভিন্ন খেলাধুলায় মেতে থাকছেন অনেক পর্যটক।
ব্যবসায়ীরা জানান, পর্যটনকেন্দ্র ঘিরেই এখানে গড়ে উঠেছে আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁ। সব মিলিয়ে সেন্ট মার্টিনে ছোট-বড় দুই শতাধিকের মতো হোটেল-মোটেল ও কটেজ আছে। এসব হোটেল-মোটেল ও কটেজ অন্তত এক–দেড় মাস আগে থেকে আগাম বুকিং হয়ে গেছে। এ ছাড়া রয়েছে শতাধিক খাবারের দোকান।
সেন-সুর আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জোবাইর বলেন, মৌসুমের শুরুতেই কোনো কক্ষ খালি নেই। সব আগে থেকে বুকিং হওয়াই ব্যবসা ভালো যাচ্ছে। জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এভাবেই চলবে।
খাবারের দোকান শাহীনার মালিক শাহাবুদ্দিন বলেন, এখন দ্বীপের প্রতিটি রেস্তোরাঁয় দৈনিক ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার বেচাকেনা হচ্ছে। এতে করে দীর্ঘদিন পর হলেও ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে।
সেন্ট মার্টিন কটেজ মালিক সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, গত বছর থেকে পর্যটকদের আগমন তেমন না বাড়ায় ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। তবে চলতি পর্যটন মৌসুমের শুরুতে প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটবে এমন আশা করছেন। এতে করে সেন্ট মার্টিনে বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের হতাশা কেটে গেছে। এখন ব্যবসায়ীরা খুশি।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে এখন দৈনিক ছয়টি জাহাজ ও কয়েকটি ট্রলারে করে গড়ে পাঁচ হাজার পর্যটক আসছেন। অধিকাংশ পর্যটক দ্বীপে রাত্রিযাপন করছেন। দু-এক দিনের মধ্যে আরও কয়েকটি জাহাজ চলাচল করার কথা।

পাঠকের মতামত: