ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

সাতকানিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১

bondukjoddচট্রগ্রাম প্রতিনিধি ::

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ জামায়াত ক্যাডার আবুল বশর ওরফে ভদাইয়া (৩৮) নিহত হয়েছে। একই সঙ্গে সাতকানিয়া থানার ৮ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আজ রবিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুটি একনলা বন্দুক, একটি এলজি ও তিন রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সাতকানিয়া থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বিষয়টি জানিয়েছেন।

আবুল বশর ওরফে ভদাইয়া সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত দুদু মিয়ার ছেলে। সাতকানিয়ার জামায়াতদলীয় সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরীর একসময়ের দেহরক্ষী হিসেবেও পরিচিতি ভদাইয়ার। ওসি ফরিদ জানান, ২১ মামলার পলাতক আসামি দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আবুল বশরকে শনিবার বিকেল ৫টার দিকে বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে সাতকানিয়া থানা পুলিশ। থানায় এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের সময় আবুল বশর জানায়, এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা গ্রামে তার কিছু অস্ত্র মজুদ আছে।

এই তথ্যের ভিত্তিতে ভোর ৫টার দিকে তাকে নিয়ে ছনখোলায় অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় বশরের সহযোগী সন্ত্রাসীরা তাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বশরকে হেফাজতে রাখার জন্য পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় বশর দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। পরে তাকে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত ৮ পুলিশ সদস্যও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওসি।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র উদ্ধার করলেও বশরের সহযোগী সন্ত্রাসীদের ধরতে পারেনি বলে জানিয়েছেন ওসি। ওসি জানান, বশর পুলিশ কনস্টেবল ইকবাল, মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ কাদেরী, আওয়ামী লীগ নেতা নূরুল কবির, যুবলীগ নেতা জামাল ও হাসানসহ সাতটি হত্যা মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি-দস্যুতা এবং হরতাল-অবরোধের নাশকতার অভিযোগে আরও ১৪টি মামলা আছে।

পাঠকের মতামত: