ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

হাতির হামলায় মরলে ১ লাখ, আঘাতে ২৫ হাজার

hati...মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

বাড়ছে মানুষ কমছে বনভূমি। মানুষের আবাসন, ফলজ ও বনজ বাগান সৃজন, অবাধে পাহাড় দখল, রিজার্ভ ফরেষ্ট ধ্বংস ও বন্য প্রাণী অভয়রাণ্য কমে যাওয়ায় প্রায় বন্য প্রাণীরা চলে আসছে লোকালয়ে। এতে করে মানুষের প্রাণহানী সহ ধ্বংস হচ্ছে সম্পদ আবার মানুষ কর্তৃক মারা যাচ্ছে বিরল বন্য প্রাণী। বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চল বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে প্রায় লোকালয়ে নেমে আসছে বন্য হাতির পাল।

বিশেষজ্ঞরা এর কারণ হিসেবে পাহাড়ে হাতির খাবার সংকট, প্রাকৃতিক বনায়ন ধ্বংস ও হাতির চলাচলের রাস্তায় স্থাপনা নির্মাণ সহ চলার পথে বাধা প্রদানকে মূল কারণ হিসেবে দেখছে। প্রায় বিলুপ্তের পথে হাতি ও সকল বন্য প্রাণী রক্ষায় সরকার জীববৈচিত্র, বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ প্রণয়ন করে। হাতির সংরক্ষণ এক নীতিমালায় হাতির আক্রমণে প্রাণহানী ঘটলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে ১লাখ ও আহত হলে ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু হাতির তান্ডবে ও হামলায় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হলে কোন প্রকার ক্ষতি পূরণের বিধান রাখা হয়নি। এতে করে পাহাড়ের অনেক দরিদ্র মানুষ বসত বাড়ি ও সম্পদ হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে সম্পদের ক্ষতির পরিমাণ বিষয়টা বিবেচনায় আনতে সরকারকে অনুরোধ করেছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লোকজন।

অপরদিকে, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনের নবম অধ্যায় ৩৬ ধারায় বাঘ ও হাতি হত্যার বিষয়ে বলা হয়েছে বাঘ বা হাতি হত্যা করিলে তিনি অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন ও উক্তরূপ অপরাধের জন্য জামিন অযোগ্য হইবেন এবং তিনি সর্বনিম্ন ২ বৎসর এবং সর্বোচ্চ ৭ বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং সর্বনিম্ন ১ লক্ষ এবং সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে দন্ডিত হইবেন এবং একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটাইলে সর্বোচ্চ ১২ বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং সর্বোচ্চ ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে দন্ডিত হইবেন।

উল্লেখ্য, বান্দরবানের লামা উপজেলায় বুনো হাতি লোকালয়ে নেমে এসে গত ১মাসে ধারাবাহিক আক্রমণে ২জন নিহত, ১২জন আহত, শতাধিক বাড়ি ঘর ভাংচুর, ব্যাপক ফসলের মাঠ, ফলজ ও বনজ বাগান নষ্ট করেছে। অনেকে আজ বসত বাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।

 

পাঠকের মতামত: