ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪

 চকরিয়ার ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা নারীকে ভোটার করার অভিযোগ 

স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া ::  রোহিঙ্গা নারীকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার অভিযোগ উঠেছে চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে। তিনি মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ভূয়া অভিভাবক সাজিয়ে জন্ম সনদ ও ওয়ারিশী সনদও দিয়েছেন। ইতোমধ্যে সনদ দুটি বাতিল চেয়ে দূর্নীতি দমন কমিশন বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জোবাইদা বেগম নামের এক নারী।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বার্মায়াপাড়ায় বসবাস করেন সাজেদা বেগম। ওই এলাকায় দীর্ঘদিন বসবাস করার সুবাদে তাকে বিয়ে করেন একই এলাকার নাছির উদ্দিন। বিয়ের পর নাছির উদ্দিন চট্টগ্রাম চলে যান। তারা মাঝে মধ্যে এলাকায় আসলেও দুয়েকদিন থেকে চলে যান। এভাবে তাদের সংসার চলে প্রায় দশবছর। সাজেদা বেগম নাছির উদ্দিনের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বিএমচর ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে জন্ম সনদ ও ওয়ারিশী সনদও হাতিয়ে নিয়েছেন। জন্ম সনদ ও ওয়ারিশী সনদ বাগিয়ে নেওয়ার পর এবার ওই রোহিঙ্গা নারী ভোটার হওয়ার জন্য তৎপরতা শুরু করেছেন।

রোহিঙ্গা নারী সাজেদা ভূয়া জন্ম সনদ ও ওয়ারিশী সনদ নেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে বিএমচর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ বহদ্দারকাটার বাসিন্দা জোবাইদা বেগম তা বাতিলের আবেদন করেন।

সনদ দুটি বাতিলের জন্য চেয়ারম্যানকে বলা হলেও তিনি এসব পাত্তা দিচ্ছেন না। ইউপি চেয়ারম্যানকে এসব কাজে সহায়তা করছেন দফাদার মোহাম্মদ হোসেন ও আরফাত হোছাইন। তারা দীর্ঘদিন ধরে ইউপি চেয়ারম্যানের নানা অপকর্মে সহায়তা করছেন বলে জানান স্থানীয়রা।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন হালনাগাদ ভোটার তালিকায় অর্ন্তূক্তের জন্য কার্যক্রম শুরু করে। ওই সুযোগে রোহিঙ্গা নারী সাজেদা বেগম ভোটার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন। সাজেদা বেগমের জন্ম সনদ ও ওয়ারিশী সনদ ভূয়া বলে দাবী করছেন বিএমচর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ বহদ্দারকাটার বাসিন্দা জোবাইদা বেগম। ইতোমধ্যে ওই নারী দূর্নীতি কমিশন কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জোবাইদা বেগম জানান, বিএমচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর আলম মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গা নারী সাজেদা বেগমকে জন্ম সনদ ও ওয়ারিশী সনদ দিয়েছেন। সনদ দুটি বাতিলের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে আবেদন করেছি। কিন্তু তিনি এসব পাত্তা দিচ্ছেন না। তিনি আরও বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও তার দুই সহযোগির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার নেওয়ার জন্য দূর্নীতি কমিশন কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা জানান তিনি।

এব্যাপারে বিএমচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, সাজেদা বেগম রোহিঙ্গা সনাক্ত হওয়ার পর তার ফাইল পরিষদে রাখা হয়েছে। ওই নারী ভোটার হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাকে জন্ম সনদ ও ওয়ারিশী সনদও বাতিল করার কথা জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: