ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় আ’লীগের কোন্দল চরমে : যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকায় এলাকাবাসী

Zafar-Gius-chakaria-alig-নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :::
চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগে আভ্যন্তরীন কোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে। নেতাকর্মীরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বাধীন গ্রুপ সভাপতিকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে দাবী করে বিবৃতি দিয়েছে। পাশাপাশি মাজারে সাধারণ সম্পাদকের ভূরিভোজ আয়োজনে হামলা ও সভাপতির বিরুদ্ধে নেওয়া চার নেতাকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে জাফর আলম সহ তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন করেছে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া সরওয়ার আলম। একই সাথে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী রুজু করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এমআর চৌধুরী। কয়েকদিনের চলমান এঘটনাকে কেন্দ্র করে যে কোন মুহুর্তে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের আশংকা করছেন সচেতনমহল।
একাধিক সুত্র জানায়, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগে গ্রুপিং চলছে দীর্ঘদিন ধরে। তা প্রকাশ্যে রুপ পায় গত ১৬ মে থেকে। ওই দিন ফাঁসিয়াখালীস্থ আপন কমিউনিটি সেন্টারে সিনিয়র সহ-সভাপতি সরওয়ার আলমের নেতৃত্বে সভায় উপস্থিত নেতাদের সম্মতি ক্রমে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর আলমকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতরি সিদ্বান্ত গৃহিত হয়।
ইউপি নির্বাচনে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা, ডাকাত-সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশয় ও চিংড়ি ঘরে জবর দখলসহ নানা অভিযোগ তোলা হয় জাফর আলমের বিরুদ্ধে। একই সাথে ওইদিনের মিটিংয়ে উপস্থিত নেতাদের জন্য মাজারে আয়োজনকৃত রান্না করা ভাত-মাংস মাটিতে ফেলে দিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুরের অভিযোগ তোলা হয়।
এছাড়াও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, সহ-সভাপতি এম.আর চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল আলম ও নুরুল আমিনকে হত্যার হুমকি দেয়া হয় অভিযোগ তুলে আইনগত ব্যবস্থা চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সরওয়ার আলম। পাশাপাশি এম.আর চৌধুরী নিজেও বাদী হয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী রুজু করেন। মিটিংয়ে নেয়া সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বাস্তবায়ন করতে রেজুলেশনের একটি কপি জেলা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী।
এদিকে এসব অভিযোগ খন্ডন করে জাফর আলম বলেন, সভাপতি উপস্থিত থাকতে অনুমতি ছাড়া অন্য কেউ দলীয় সভা করতে পারে না। মাজারে কে হামলা করেছে তা আমার জানা নেই। থানায় দেয়া অভিযোগের বক্তব্য বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। সভাপতি পদ থেকে আমাকে উপজেলা আওয়ামীলীগের কয়েকজন কথিত নেতা অব্যাহতি দিতে পারে না। সেটা হাস্যকর ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থি। নিয়ম তান্ত্রিকভাবে কেন্দ্রীয় কমিটি যে সিদ্বান্ত নেবে তা আমি মাথা পেতে মেনে নেব।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুইজন জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামীলীগ নেতা জানান, চকরিয়া-পেকুয়া জামায়াত-বিএনপি’র ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। বিগত সময়ে জামায়াত-বিএনপির ধ্বংসাত্মক কর্মসুচি চলাকালে জাফর আলমের সাহসি ভূমিকার কারণেই দুই উপজেলার সংখ্যালঘুসহ সাধারণ মানুষ নিরাপদ ও শান্তিতে থাকতে পেরেছে এবং সর্বস্থরের মানুষের জানমাল রক্ষা পায়। চলমান সুসময়ে জাফর ঠেকাও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগেরই ক্ষতি করছে সুবিধাভোগীরা।

পাঠকের মতামত: