ঢাকা,শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

লামায় ৪ বছর ধরে পরিত্যক্ত নব নির্মিত ইউপি কমপ্লেক্স ভবন, বখাটেদের আস্তানা

SAMSUNG CAMERA PICTURES
SAMSUNG CAMERA PICTURES

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

 

নির্মাণের প্রায় ৪ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে বান্দরবানের লামা উপজেলার ২নং লামা সদর ইউপি কমপ্লেক্স ভবন। ২০১৪ সালে ৬ ফেব্রুয়ারী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ৮৮ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা ব্যয়ে লামা ইউপি কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করে নির্মিত ভবন ইউনিয়ন পরিষদের নিকট হস্তান্তর করেছে। শুধুমাত্র উদ্ভোধনের অজুহাতে প্রায় কোটি টাকার ভবনটির নাগরিক সুবিধা হতে বঞ্চিত ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ।

এলজিইডির বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন চাকমা জানিয়েছেন, ইউনিয়ন পরিষদের নির্মিত ভবনে বিভিন্ন বিভাগীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রাখার কোন সুযোগ নাই।

জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান ও বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রানলয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি ২০১৩ সনের ৫ সেপ্টেম্বর ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন। ২০১৪ইং সনের ৬ ফেব্রুয়ারী লামা ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ৮৮ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ভবনটি নির্মাণ করে। এলজিইডি, শিক্ষা, বিআরডিবি, আনসার ভিডিপি, জনস্বাস্থ্য, প্রাণীসম্পদ ও কৃষি বিভাগের কার্যক্রমের জন্য নব নির্মিত ভবনে নির্ধারিত কক্ষ রয়েছে। এছাড়া চেয়ারম্যান, সচিবের জন্য অফিস কক্ষসহ রেস্টহাউস এবং হল রুম রয়েছে।

এলজিইডি উপজেলার প্রকৌশলী মোবারক হোসেন জানান, ইউপি ভবন নির্মাণের পরে চেয়ারম্যানের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। নব নির্মিত ভবনে ইউপির প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের। দাপ্তরিক কাজ দ্রুত শুরু করতে চেয়ারম্যানের সাথে কথা হয়েছে।

স্থানীয় অনেকে জানায়, সরকার নাগরিক সুবিধা জনসাধারণের দৌড় গোড়ায় পৌঁছে দিতে ইউপি ভবনটি নির্মাণ করেছে। উদ্বোধন করা হয়নি অজুহাতে প্রায় ৪ বছর যাবৎ পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে আছে। নব নির্মিত ইউপি কমপ্লেক্স ভবনে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে। রাতের বেলায় বখাটেদের আস্তানায় পরিণত হয়। ইউনিয়নের কয়েক হাজার জনগণকে দীর্ঘপথ ও মাতামুহুরী নদী পাড়ি দিয়ে পৌরসভায় অস্থায়ী কার্যালয়ে গিয়ে সুবিধা গ্রহণ করতে হয়। নাম প্রকাশ না করা সত্ত্বে ইউনিয়নে দায়িত্বরত কয়েকটি বিভাগের কর্মচারীরা জানায়, দাপ্তরিক কাজে নির্ধারিত জায়গা না থাকায় বিভাগীয় কার্যক্রম পরিচালনায় সমস্যার সৃষ্টি হয়।

লামা ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন সাংবাদিককে জানিয়েছেন, মাতামুহুরী ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ না হলে পরিষদের দাপ্তরিক কার্যক্রম চাঙ্গা হবে না।

পাঠকের মতামত: