লামা সংবাদদাতা :: লামায় ৩ লাখ টাকা যৌতুকের দাবীতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রসূতি গৃহবধূকে নির্যাতনের ফলে সন্তান নষ্ট হয়েছে এমন অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন শারমিন আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূ। বুধবার (২৯ জুলাই) লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সুপ্রীম কোর্টে এডভোকেট মামুন মিয়া মামলার বাদীর পক্ষে অভিযোগটি উপস্থাপন করেন। শারমিন লামা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক বিলছড়ি এলাকার মো. শাহজাহানের মেয়ে।
বিজ্ঞ সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি নিয়মিত এজাহার হিসাবে আমলে নিতে লামা থানাকে নির্দেশ প্রদান করেন।
এডভোকেট মামুন মিয়া বলেন, বাদীর আনিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা মামলাটি উপস্থাপন করি। মামলার বাদী গৃহবধূ শারমিন আক্তার তার স্বামী নুর আলম, শ্বশুর রুহুল আমিন ও শাশুরি লুৎফা বেগমকে মামলায় আসামি করেন।
আদালতে দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, লামা পৌরসভার সাবেক বিলছড়ি সিলেটি পাড়ার বাসিন্দা মো. শাহজাহানের মেয়ে শারমিন আক্তারকে একই গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিন এর ছেলে নুর আলমের সাথে গত ২৮ আগষ্ট ২০১৯ সালে বিবাহ দেন। বিবাহের পর সংসার ৩/৪ মাস সুখের হলেও তারপর থেকে শারমিনের জীবনে নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন। স্বামী নুর আলম ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। যৌতুক না দেয়ায় প্রথম দিকে মানসিকভাবে নির্যাতন ও ধীরে ধীরে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। গত ১৬ জুলাই যৌতুকের টাকা না পাওয়ায় পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে রাত ১০টা হতে রাত ১টা পর্যন্ত হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র, লাথি, কিল, ঘুষি মেরে তলপেঠ, হাতে, মুখে, বুকে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করে। এসময় তাদের নির্যাতনে গৃহবধূ শারমিনের ৬ সপ্তাহের গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। খবর পেয়ে আমার বাবা শশুরবাড়ি থেকে চিকিৎসার জন্য লামা হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে কক্সবাজার মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করা হয়। এই বিষয়ে জানতে শারমিন আক্তারের স্বামী নুর আলমের নাম্বারে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পাঠকের মতামত: