পার্বত্য জেলা বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্টি মারমা সম্প্রদায়ের নবান্ন উৎসব নানা আয়োজনে পালন করছে মারমা জাতি গোষ্ঠিগুলো। বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষুদ্র নৃগোষ্টির সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউটের আয়োজনে বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের চেমী ডলু পাড়ায় বর্নাঢ্য আয়োজনে মারমা সম্প্রদায়ের অধিবাসীরা এই নবান্ন উৎসব পালন করে।
এই উপলক্ষে সকালে ক্যামলং পাড়া থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মারমা পাড়া জুমঘরে গিয়ে শেষ হয় । র্যালীতে মারমা সম্প্রদায়ের বিভিন্ন ব্যাক্তিত্ব ছাড়া ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে মারমা পাড়া জুমঘরে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কতিক অনুষ্টান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মারমা সম্প্রদায়ের এই উৎসবের উদ্বোধন করেন। পাবর্ত্য জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারাম্যান ক্য সা প্রুর সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত থেকে মারমা সম্প্রদায়ের নবান্ন উৎসব ( ককসই পোয়ে) এর আনন্দ আয়োজনে সামিল হন জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চৌধুরৗ, সিভিল সার্জন ডা:উদয় শংকর চাকমাসহ মারমা সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্ধরা। এসময় প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং এমপি বলেন , মারমা সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব এই নবান্ন । প্রতিবছর নতুন দিনের ফসল ঘরে তোলা আর সৃষ্টিকর্তার উদেশ্যে প্রদান করতেই এই নবান্ন উদযাপন করে মারমা সম্প্রদায় । প্রতিমন্ত্রী এসময় আরো বলেন , প্রতি বছর জুম চাষের পাশাপাশি অন্যান্য ফলের চাষ করে সবাই লাভবান হতে পারে। এসময় তিনি বলেন , যাদের নিজস্ব জমি রয়েছে এবং ফল উৎপাদনে আগ্রহী তাদেরকে পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে বিনামুল্যে সার , বীজসহ সকল সুবিধা প্রদান করে মিশ্র ফল বাগান করে দেওয়া হবে। এসময় অনুষ্টানে নতুন ধানের পিঠামেলা , জুমের ফসল উৎসর্গ ,প্রার্থনা ও নবান্নের নানা পরিবেশনার সাথে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলে আয়োজকেরা। নিয়মানুযায়ী প্রতিবছর নবান্নের সময় সৃষ্টিকর্তার উদ্যশে জুমে উৎপাদিত নতুন ধান ,মারফা,চিনার, মিষ্টিকুমড়াসহ নানা ফল সৃষ্টিকর্তাকে প্রদান করে তবেই তারা তা ভোগ করে।
পাঠকের মতামত: