ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ফাইতংয়ে শিক্ষকের জায়গা দখলে নেয়ার চেষ্টায় স্থানীয় এক ইউপি মেম্বার

আবদুল করিম বিটু, চকরিয়া :: লামা উপজেলার ফাইতং ই্উনিয়ন পরিষদের এক মেম্বারের বিরুদ্ধে জমি-জবর দখল করার চেষ্টার অভিযোগ করেছেন জমির মালিক শিক্ষক সালাহ উদ্দিন। আজ ১৫ জানুয়ারী শুক্রবার চকরিয়ার স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ অভিযোগ করেন।

ভূক্তভোগি সালাহ উদ্দিন জানান, ২০১২ সালে ফাইতং এলাকার সুরেশ মোহন ত্রিপুরা নামীয় ফাইতং ৩০৬ নং মৌজার জি হোল্ডিং নং ২২২ এর ৪ একর ৮০ শতক ও কুহেলিয়া ত্রিপুরা থেকে ৯ একর ৬০ শতক জায়গা রেজিষ্ট্রী মূলে ক্রয় করেন। এছাড়া একই মৌজার বাসিন্দা আবছার উদ্দিনের পুত্র খাঁন আবদুল মান্নান, ওয়াহাব খাঁন ও আবদুল বারী এবং জিন্নাত খাঁর পুত্র আবুল খাঁর কাছ থেকে ২২০.২০৯.২০৩ দাগের আরো ১৫ একর জায়গা গত ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারী চুক্তিনামা মূলে ক্রয় করেন তিনি। এসব জায়গায় তিনি বিভিন্ন গাছের বাগান ও ক্ষেত ফসলাদী চাষাবাদ করে আসছেন। বেশ কিছুদিন ধরে ওই জায়গার উপর কু-দৃষ্টি পড়ে স্থানীয় ৬ নং ইউপি সদস্য শহিদুল হক প্রকাশ মিন্টু মেম্বারের। এসব জায়গায় থাকতে হলে তাকে প্রতিনিয়ত মোটা অংকের টাকা দিতে হবে অন্যতায় জায়গা দখল করে নেবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে। এ নিয়ে মাষ্টার সালাহ উদ্দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এমন কি তাদের বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে।

এসব অভিযোগের কারনে গত ১২ জানুয়ারী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন থানা সার্ভিয়ার তনক চাকমা। ওই কর্মকর্তা পরিদর্শন করে ফিরে যাওয়ার পর পর পুনরায় ওই মেম্বর ও তার দলবল বাগান থেকে কলাগাছ ও সবজি ক্ষেত কেটে নষ্ট করে দেয়। ওই জমি তাকে ছেড়ে না দিলে যে ভাবে হউক জমি গুলো দখলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। মাষ্টার সালাহ উদ্দিন বলেন, মেম্বার নিজেকে সরকার দলের প্রভাবশালী নেতা ও ইউপি সদস্যের ক্ষমতা দেখিয়ে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে।

৩০৬ নং ফাইতং মৌজার হেডম্যান উম্রা মং জানান, জমি গুলো মাষ্টার সালাহ উদ্দিন প্রকৃত মালিক থেকে ক্রয় করে দখলে আছে। কিন্তু ওই জায়গায় মেম্বার বে আইনী ভাবে দখলের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

বর্তমানে মিন্টু মেম্বার ও তার সহযোগিদের হুমকিতে মাষ্টার সালাহ উদ্দিন ও তার পরিবার চরম নিরপত্তাহীনতায় রয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

পাঠকের মতামত: