খাগড়াছড়ির রামগড়ে গরু ব্যবসায়ীদের প্রায় আড়াই লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ ছাত্রলীগের নেতাসহ পাঁচজনকে আটক করেছে।
ছিনতাইকৃত টাকা উদ্ধার ও ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান এখনও চলছে।
বৃহস্পতিবার রাতে জালিয়াপাড়া রামগড় সড়কের পাইন্যাটিলা নামক স্থানে ওই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় সিএনজি চালিত অটো রিকশার গতিরোধ করে ৭-৮জন ছিনতাইকারী অস্ত্রেরমুখে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দুই লাখ ৩১ হাজার টাকা ও একটি দামি মোবাইল ফোন সেট ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, নোয়াখালী জেলার মাইজদীর পাঁচজন গরু ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া, সোহাগ, কালু, ইউছুপ ও মঈন উদ্দিন বৃহস্পতিবার রাতে জেলার মাটিরাঙ্গা থেকে সিএনজি চালিত একটি অটো রিকশায় করে রামগড়ে আসার পথে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে। রামগড় জালিয়াপাড়া সড়কের পাইন্যাটিলা নামক নির্জ্জন জঙ্গলঘেরা স্থানে আগে থেকে ছিনতাইকারীরা ওঁৎ পেতে থাকে। পরে অটো রিকশা আটকিয়ে ছিনতাইকারীরা ব্যবসায়ীদের মারধর করে দুজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দুই লাখ ৩১ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন সেট ছিনিয়ে নিয়ে তিনটি মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়।
অভিযোগ পেয়ে রামগড় থানার পুলিশ ছিনকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করে। পুলিশ প্রথমে রামগড় বাজার এলাকা থেকে পলাশ দত্ত, নাঈম মজুমদার ও শরীফ পাটোয়ারী নামে তিন যুবককে আটক করে। পরে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী মাটিরাঙ্গা থেকে রুবেল ও গুইমারা থেকে অশোক কুমার দে নামে আরও দুজনকে আটক করা হয়।
তাদের মধ্যে রুবেল মাটিরাঙ্গা পৌর ছাত্রীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পলাশ দত্ত, নাঈম ও শরীফ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সদস্য বলে জানা গেছে।
আটক নাঈম ও পলাশ নিজেদের নির্দোষ দাবি করে বলেন, এ ঘটনায় তাদের ফাঁসানো হয়েছে।
রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মাইন উদ্দিন খান বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত মাটিরাঙ্গার আলমগীরসহ অন্যদের ধরতে এবং ছিনতাইকৃত টাকা উদ্ধারে তিনি পুলিশ ফোর্স নিয়ে এখনও অভিযান চলছে।
পাঠকের মতামত: