মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ
বান্দরবানের লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের উম্মেহাতুল মুমিনীন লিতালিমিল বানাত মহিলা মাদ্রাসার বিরুদ্ধে সরকারী বই চুরি করে খোলা বাজারে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে ইউনিয়নের গুলিস্থান বাজারে জনৈক আব্দু শুক্কুর এর দোকানে চুরি করে বই বিক্রয়কালে স্থানীয়রা বাধা দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাদ্রাসার ২জন কোমলমতি ছাত্রীকে দিয়ে প্রায় ২০-২৫ কেজি সরকারী পাঠ্যপুস্তক (নতুন বই) কেজি দরে বিক্রি করতে দোকানে পাঠায় মাদ্রাসার সহ-সুপার তৈয়বা বেগম। শিক্ষার্থীরা বই গুলো গুলিস্থান বাজারের আব্দু শুক্কুর এর দোকানে নিয়ে আসে। বিক্রয়কালে সরকারী বই দেখে স্থানীয়রা বাধা দিলে ও জানাজানি হলে তারা বই গুলো পুণরায় ফেরত নিয়ে যায়। এসময় স্থানীয় এক রিপোটার ছবি তুলতে গেলে তাকে গালমন্দ ও হুমকি দেয় মাদ্রাসার সহ-সুপার তৈয়বা বেগম। চোরাই বই বিক্রয় কাজে মাদ্রাসার কোমলমতি শিশুদের ব্যবহার করা হচ্ছে।
স্থানীয় রিপোটার মোহাম্মদ মোর্শেদ বলেন, মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রীদের দিয়ে বই বিক্রি করা সময় আমি ছবি তুলি। ছবি তোলায় বিষয়টি ছাত্রীরা শিক্ষিকাকে বললে তারা পুনারায় বই নিয়ে মাদ্রাসায় চলে যেতে বলে। পরে মাদ্রাসার সহ-সুপার তৈয়বা বেগম মোবাইল ফোনে আমাকে বলে, ছবি তুলেছ কেন ? তোকে আমি মারব না হয় মানুষ দিয়ে পিটালে কি হবে। বেশি চালাক হয়ে গেছ। সরকার আমাদের টাকা ছাড়া বই দেয় না। আমরা কিনি আনছি ২ হাজার টাকা দিয়ে। এখন নিয়ে এসেছি পরে বাইরে বিক্রি করব। আমরা বিদেশি টাকা দিয়ে মাদ্রাসা চালায়। অথচ মাদ্রসার একটি ভবন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এম.পি করে দিয়েছেন।
মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুর রহিম বিদেশ থাকায় তার স্ত্রী মাদ্রাসার সহ-সুপার (নেয়বী মুহতারাম) তৈয়বা বেগম বলেন, আমরা সরকার থেকে বই পাইনা। টাকা দিয়ে সরকারী বই গুলো অন্য মাদ্রাসা থেকে ক্রয় করেছি।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, উম্মেহাতুল মুমিনীন লিতালিমিল বানাত মহিলা মাদ্রাসাটি সরকারী নিয়ন্ত্রিত বা অনুমোদিত নয়। তারা সরকারী বই পাওয়ার কথা নয়। কিভাবে তারা এই বই সংগ্রহ করেছে তা দেখতে একটি প্রতিনিধি টিম ফাঁসিয়াখালীতে প্রেরণ করা হয়েছে। বই গুলো জব্দ করে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাঠকের মতামত: