ঢাকা,মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

টানা ছুটিতে পাচারের অপেক্ষায় সরকারী বনের বিপুল কাঠ

siesed-wood-1বান্দরবান প্রতিনিধি ::::
পবিত্র ঈদুল আজহার টানা ৯দিনের সরকারি ছুটির ফাঁকে বান্দরবান জেলার সদর এবং রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা,জামছড়ি,বাঘমারা,নাছালংপাড়া,আন্তাহাপাড়া,ক্যাজুপাড়া,আলেক্ষ্যং এবং নোয়াপতংয়ের সরকারি বনাঞ্চল থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ কাঠ পাচারের প্রস্তুুতি চলছে। ইতিমধ্যে জামছড়ি পাড়া থেকে শুরু হয়ে নোয়াপতং ও হ্নারা,ক্যাজুপাড়া পর্যন্ত সড়কের দুইপাশে মুল্যবান সেগুন,গামারী,করইসহ নানা প্রজাতির গাছ কর্তন করে কাঠ হিসেবে মজুদ করা হয়েছে সুযোগ বুঝে পাচারের উদ্দেশ্য। জেলা শহরের অদুরে বালাঘাটা এবং কালাঘাটা এলাকার স মিলগুলোতে কয়েক হাজার ঘনফুট কাঠ অবৈধভাবে মজুদ রাখা হয়েছে। এসব কাঠ ইদের বন্ধের সময়েই নানাকুশলে জেলার বাইরে পাচার করা হবে বলেও জানা গেছে।

এলাকাসমুহ পরিদর্শকালে স্থানীয় সচেতন নাগরিক,জনপ্রতিনিধি এবং সমাজনেতারা এসব অভিযোগ তুলেছেন। প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, এসব এলাকায় সংঘবদ্ধ কাঠচোর ও কাঠ পাচারকারী পরিকল্পিত ভাবেই ঈদের টানা ছুটির সময় কাঠ পাচারের জন্যে ইতিমধ্যেই মজুদ করে রেখেছে,কিছু জোতপারমিট তৈরি করে চোরাই কাঠগুলো নানা কুশলে পাচারের অপতৎপরতাও চালাচ্ছে তারা।

এ প্রতিনিধিসগ ৪জন সাংবাদিক বান্দরবান সদরের অদূরে জামছড়ি,বাঘমারা এবং নাছালং পাড়া এলাকা পরিদর্শনের সময় প্রায় ৩ হাজার ঘনফুট অবৈধভাবে কর্তিত সেগুন কাঠের মজুদ দেখতে পেয়েছেন। এসব অবৈধ সেগুন কাঠ সড়কের দুইপাশে গাছপালার ছায়ায় বা পাহাড়ের পাদদেশে মজুদ রাখা হয়েছে পাচারের লক্ষ্যে। তারাছা এবং রোয়াংছড়ির সরকারি বনাঞ্চল থেকেও অবৈধভাবে কর্তন করা কাঠ জংগলের নানাস্থানে পাচারের জন্য মজুদ রাখা হয়েছে বলেও স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন।

স্থানীয়রা বলছেন,আগামী ৯ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ দিনের টানা সরকারি বন্ধের সময় কাঠসহ বিভিন্ন যানবাহন যোগে ‘ভুয়া টিপি’ ব্যবহার করে পাচার করা হবে দেশের নানা স্থানে। এসব কাঠ পাচারে জড়িত থাকছে কাঠ চোরের দল এবং অসাধু বনকর্মীরা। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে,বান্দরবান বন বিভাগ,কাপ্তাই পাল্পউড প্ল্যান্টেন বিভাগ এবং বান্দরবান পাল্পউড প্ল্যান্টেশন বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তারা বলেন,অবৈধ কাঠ পাচার রোধে বনবিভাগ বিশেষ টহলদলের ব্যবস্থা রেখেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সজাগ রয়েছে কাঠ পাচার বন্ধের জন্যে। এসব এলাকায় মজুদ করা কাঠগুলো বৈধ জোত পারমিটের আওতাভুক্ত কাঠ।

 

পাঠকের মতামত: