লামা প্রতিনিধি ::: বান্দরবানের লামা উপজেলায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২ হাজার ৩৭ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি রাজাপাড়া থেকে এসব উদ্ধার করা হয়। এ সময় ৪ সন্ত্রাসীকে আটক করে সেনাবাহিনী ও র্যাব সদস্যরা। আটকরা হলো- আটকরা হলেন- থুইসা মং মার্মা (৩৬), এক্য মার্মা (৩৯), চাইমুং মার্মা (৩৬) ও নেপাই মার্মা (৪৫)। এরা সবাই ওই এলাকার রাজা পাড়ার বাসিন্দা। উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ১১টি দেশে তৈরি ওয়ান শুটার গান ও ১৪টি একনলা বন্দুক রয়েছে। আটকরা স্থানীয়ভাবে চাঁদাবাজি, অপহরণসহ বিভিন œ অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা।
চট্টগ্রাম র্যাব-৭ কক্সবাজার ইউনিটের কর্মকর্তা মেজর রুহুল আমিন জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি এলাকাগুলোতে সন্ত্রাসীরা খুন, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা আলীকদম সেনাবাহিনীর সহায়তায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৭টার দিকে দুর্গম পাহাড়ি গয়ালমারা এলাকার দুর্গম রাজাপাড়ার পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানের সময় চারজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফুলের ঝুাড়–র ভিতরে রক্ষিত ২৫টি আগ্নেয়ান্ত্র ও ২০৩৭ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়।
এদিকে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, গয়ালমারা, বনফুর, রাজাপাড়া এলাকাটি সন্ত্রাসীদের অভয়ারন্যে পরিণত হয়েছে। কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপের চাঁদাবাজি, অপহরণসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে এলাকাবাসী জর্জরিত। প্রায় সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালালেও গভীর পাহাড়ি এলাকায় হওয়ায় সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে গা ঢাকা দেয়। ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাম্প স্থাপনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মিমতানুর রহমান ও লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন ২৫ আগ্নেয়াস্ত্র, ২০৩৭ গুলিসহ ৪ সন্ত্রাসীকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় আটকদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পাঠকের মতামত: