লামা প্রতিনিধি :: বান্দরবানের লামা উপজেলায় চাঁদাবাজীর প্রতিবাদে অর্ধবেলা ধর্মঘট পালন করেছে সিএনজি, মাহিন্দ্রা ও অটোরিক্সা চালকরা। বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলে। উপজেলার সরই ইউনিয়নের ক্যয়াজুপাড়া বাজার সভাপতির বিরুদ্ধে সিএনজি, মাহিন্দ্রা ও অটোরিক্সা মালিক সমিতি, লোহাগাড়া উপজেলার অটোরিক্সা ও সিএনজি চালক কল্যাণ সমবায় সমিতি লিমিটেড এ ধর্মঘটের ডাক দেয়। এসময় কেয়াজুপাড়া বাজার হতে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে এবং কেয়াজুপাড়া বাজার হতে লোহাগাড়া সড়কে সিএনজিসহ ছোট যান পরিবহন চলাচল বন্ধ দেন চালকরা। এতে স্থানীয় জনসাধারণ চরম ভোগান্তিতে পড়েন। পরে দুপুরের দিকে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
ধর্মঘট পালনের সত্যতা নিশ্চিত করে সরই সিএনজি, মাহিন্দ্রা ও অটোরিক্সা মালিক সমিতি সভাপতি আবু কালাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. জাবেদ সাংবাদিকদের বলেন, বাজার এলাকায় গাড়ি রাখতে হলে কেয়াজুপাড়া বাজারের সভাপতি মো. সেলিমকে মাসিক ১ হাজার ৫শত টাকা হারে চাঁদা দাবী করেন। চাঁদা না দিলে গাড়ি রাখা যাবে না বলেও হুশিয়ারী দেন। এমনকি গত ২ ফেব্রুয়ারী সেলিম ৫ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে চাঁদা দিতে হবে বলেও সময় বেধে দেন। সময়মত তাকে চাঁদা না দেয়ায় বুধবার সকালে সিএনজি কাউন্টারে লাইনম্যানের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন সেলিম। এ পর্যায়ে চেয়ার-টেবিল লাথি মেরে ফেলে দেয়ার প্রতিবাদে আমরা সড়কের ওপর সিএনজি মাহেন্দ্রা জড়ো করে ধর্মঘট পালন করি।
সিএনজি’র ক্যয়াজুপাড়া লাইনম্যান মো. সাইদুল আলম বলেন, সকাল ৯টার দিকে আমাদের সিএনজি কাউন্টারে এসে সেলিম ৩ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন। আমাদের সিএনজি চালকরা সারাদিন গাড়ি চালিয়ে মালিকের ভাড়া দিতে অনেক কষ্ট হয়ে যায়। সেখানে অন্য লোককে কিভাবে চাঁদা দিবো।
এদিকে অভিযুক্ত কেয়াজুপাড়া বাজারের সভাপতি মো. সেলিম অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, বাজার পরিষ্কারের জন্য ঝাড়ুদারকে খরচ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল সিএনজি সমিতির নেতৃবৃন্দকে। কারো কাছ থেকে চাঁদা দাবী করা হয়নি।
এ বিষয়ে সরই পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শফিউল আলম বলেন, হঠাৎ করে চালকরা সিএনজি মাহেনদ্্রা চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে দুপুর থেকে পরিস্থিতি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সরই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ফরিদ-উল আলম বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সিএনজি বন্ধ ছিল। দুপুরে দুই পক্ষকে ডেকে নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: