মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, বান্দরবান প্রতিনিধি ::
গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালনে বান্দরবানে বিএনপির কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশে পুলিশ লাঠিচার্জ করে নেতাকর্মীদের ছাত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। এসময় জেলা ছাত্রদল সভাপতিসহ তিনজন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (৫ জানুয়ারী) বান্দরবান শহরের মসজিদ মার্কেটের সামনে থেকে একটি কালো পতাকার মিছিল বের হলে পুলিশের বাঁধার মূখে সড়কের উপর বসে পড়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় বাঁধা উপেক্ষা সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেন।
এসময় পুলিশ জেলা ছাত্রদল সভাপতি সাবিকুর রহমান জুয়েল, কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক মোরশেদ বিন ওমর ও জেলা ছাত্রদল সদস্য মোঃ রাসেলকে আটক করেছে পুলিশ। পরে বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের ফুট প্যালেজ রেষ্টুরেন্টে জেলা বিএনপি’র সভাপতি ম্যা ম্য চিং এর সভাপতিত্বে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যাপক মোঃ ওসমান গনি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাবেদ রেজা। সংবাদ সম্মেলনে নেতারা অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ মিছিল ও সমাবেশে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের তিনজন নেতাকর্মীকে আটক করে নিয়ে গেছে। আগামী ২৪ঘন্টার মধ্যে আটককৃত নেতাকর্মীদের নিশর্তে মুক্তি না দিলে তারা কঠোর আন্দোলন যাবেন।
অপরদিকে বান্দরবানের বৃহৎ উপজেলা লামায় গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে কালো পতাকা হাতে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায় বিএনপি নেতাকর্মীরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপি সভাপতি আমির হোসেন, মহিলা দলের সভানেত্রী জোৎস্না বেগম, ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি নুরুল আলম, যুবদল নেতা হারুণ অর রশিদ, শাহাদাৎ উদ্দিন সহ প্রমূখ। এখানেও পুলিশের বাধায় সমাবেশ করতে পারেনি বিএনপি নেতাকর্মীরা।
বিএনপি নেতারা দাবি করে বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাংলাদেশের ইতিহাসে কলংক রচনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নতুন অধ্যায় সূচনা করে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল।
পাঠকের মতামত: