ঢাকা,রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

আলীকদম পানি শোধনাগার প্রকল্প: সাড়ে ৫ বছরেও শেষ হয়নি কাজ!

আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি ::::
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদরে পানি শোধনাগার প্রকল্প উদ্বোধন করা হয় ২০১১ সালের ১১ জুন। কিন্তু সাড়ে ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো শেষ হয়নি প্রকল্পকাজ। বান্দরবান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্প উদ্বোধন করা হলেও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ হয়নি। ফলে মাঝপথেই থেমে আছে জনগুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পের কাজ।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, উপজেলার পুরোনো ডাকবাংলো এলাকায় পানি শোধনাগার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন তৎকালীন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সাংসদ বীর বাহাদুর। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ ১৫ হাজার টাকা। এটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ প্রকল্পের নির্মাণকাজে কারিগরি সহায়তা করছে।
প্রকল্পের কাজ কি কারণে বন্ধ তার সঠিক তথ্য জানেন না উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মনির আহামদ। জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমাদের নির্বাহী প্রকৌশলী থেকে খবর নিয়ে বলতে পারবো। এ বিষয়ে একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার নির্বিকার ভূমিকা সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে।
তবে বান্দরবান জনস্বাস্থ্য নির্বাহী প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন বলেন, নকশা প্রণয়ন হয়েছে। কিন্তু এখনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। প্রকল্প ব্যয় ও বরাদ্দ চেয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অর্থবরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু হবে। তিনি বলেন, প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করছে।
জানা গেছে, পানি শোধনাগার প্রকল্পের অধীনে সাত কিলোমিটার এলাকায় পাইপ লাইন বসানো হবে। আলীকদম উপজেলা সদরে পানি সরবরাহ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন আবাসিক ভবন, আলীকদম বাজারপাড়া, খুইল্যা মিয়া পাড়া, আমতলী, পূর্ব পালংপাড়া, বাস টার্মিনাল এলাকা, উত্তর পালংপাড়া, ছাবের মিয়াপাড়া, থানা পাড়া, সদর হিন্দুপাড়া ও অংবাই কার্বারি পাড়ার মানুষের পানীয় জলের সংকট কেটে যাবে। কিন্তু অর্থ ছাড়ের দীর্ঘসূত্রতায় প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখবে কি না তা নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে।
থানা পাড়ার বাসিন্দা ঠিকাদার আব্দু শুক্কুর বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতার কারণ অর্থ বরাদ্দ নেই। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার যে পরিমাণ কাজ করেছে তার বিলও পায়নি। প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে এখানকার মানুষকে পানির সংকটে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সামনে শুষ্ক মৌসুমের আগে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে এক নম্বর আলীকদম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন বলেন, ‘প্রকল্পের বিষয়ে আমিও খোঁজখবর নিচ্ছি। তবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবেই।’

পাঠকের মতামত: