ঢাকা,রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

আলীকদমে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে কেক কাটলো ৫ সহযোগি সংগঠন

আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি ::  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত দলীয় কার্যালয়ের আলোচনা সভায় যোগ দেয়নি ৫টি অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা! উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মংব্রাচিং মার্মার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা চলাকালেই আলীকদম প্রেসক্লাবের হলরূমে কেক কেটে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করেন সহযোগি সংগঠনের নেতারা।

মূল দলের পাশাপাশি আলাদাভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিক উদযাপন করার কারণ হিসেবে তারা উপজলো আওয়ামী লীগ নেতাদের দ্বারা উপেক্ষিত হয়েই আলাদাভাবে কেক কেটে জন্মশতবার্ষিক উদযাপন করেছেন বলে জানান।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সমন্বয়হীনতা, রাজনৈতিক দুরদর্শীতার অভাবে অভিযোগ করেন উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সাতুল বড়ুয়া। তিনি বলেন, সহযোগি মনোভাবের অভাবে কারণে আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে সহযোগি সংগঠনের নেতাদের মধ্যে দুরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শুভ রঞ্জন বড়ুয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কোন কর্মকাণ্ডে সহযোগি সংগঠনগুলোকে জানানো হচ্ছে না। নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের বিপদে আওয়ামী লীগ নেতাদের পাওয়া যায় না। ফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাথে সহযোগি সংগঠনগুলোর সমন্বয়হীনতা চলছে।

উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি মংচিংথোয়াই মার্মা বলেন, সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে বৈরী আচরণ ও সহযোগি মনোভাব না থাকার কারণে মূল দলের সাথে তাদের দূরত্ব বাড়ছে।

একই অভিযোগ করেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার জিহাদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বিপদ-আপদে সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে উপেক্ষিত হচ্ছেন। কয়েকজন নেতার একপেশে সিদ্ধান্তের ফলে মাঠপর্যায়ে দলের ভাবমূর্তি চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৌরভ পাল ডালিম বলেন, দলীয় নানান কর্মসূচী পালনে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা সহযোগি সংগঠনগুলোর মতামত নেয় না। ফলে সমন্বয়হীনতা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এ অবস্থার উন্নতি না হলে মাঠ পর্যায়ে দল ক্ষতির শিকার হওয়ার আশংকা করেন তিনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দুংড়িমং মার্মা বলেন, তারা (সংযোগী সংগঠনগুলো) যে অনুষ্ঠান করেছেন এতে কোনো অসুবিধা নেই।

পাঠকের মতামত: