মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, বান্দরবান প্রতিনিধি ঃ বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার সবচেয়ে দূর্গম কুরুপপাতা ইউনিয়নের ভিজিডি কার্ডে দুস্থদের মাঝে চাউল কালোবাজারে বিক্রয়ের পরে তা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ভিজিডি চালের অবৈধ মজুদদার পারভীন আক্তারকে আসামী করে আলীকদম থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, আলীকদম থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. রফিক উল্লাহ।
বৃহস্পতিবার ভিজিডি চাল বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের পরে কালোবাজারের চাল উদ্ধারে মাঠে নামে প্রশাসন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে আলীকদম সদর হিন্দু পাড়ার জনৈক শুক্কুরের স্ত্রী পারভীন আক্তারের বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে ১৩ বস্তা চাল আটক করে আলীকদম থানা পুলিশ। এবিষয়ে পারভীন আক্তারকে আসামী করে করা হয়। মামলা নং ০৬, তারিখ- ৩০ নভেম্বর ২০১৭ইং।
আলীকদম উপজেলার ভিজিডি কর্মসূচীর সমস্বয়কারী ও উপজেলা মহিলা অধিদপ্তর কর্মকর্তা সুষ্মিতা খীসা চাউল বিতরণে অনিয়মের কথা স্বীকার করে ও জব্দকৃত চাল ভিজিডি কর্মসূচীর নিশ্চিত করে বলেন, আমি অফিসিয়াল কাজে বান্দরবান জেলা সদরে আাছি। এই ঘটনায় যারা জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
কুরুপপাতা ইউপি চেয়ারম্যান ক্রাতপুং ¤্রাে বলেন, পারভীন আক্তারের কাছে জব্দকৃত চাল ভিজিডি কর্মসূচীর। কিভাবে কোথায় থেকে এই চাল পেয়েছে আমি জানিনা। মামলার বাদী ও তদন্তকারী অফিসার পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. আজমগীর বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপরাধীরা আইনের আওতায় আসবে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নায়েরুজ্জামান বলেন, জব্দকৃত ভিজিডি চাল গুলো কিভাবে কালেঅবাজারে গেল তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) আলীকদমের কুরুপপাতা ইউনিয়নের দুস্থ অসহায় মহিলাদের কাছ থেকে ৩ বা ২ মাসের স্বাক্ষর নিয়ে ১ মাসের করে চাল দেয়া হয় এবং বাকী চাল কালোবাজারে বিক্রয় করা হয় বলে জানায় ভিজিডি চাল প্রাপ্ত দুস্থ মহিলারা। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভিজিডি কর্মসূচীর অধিনে উপজেলার কুরুপ পাতা ইউনিয়নে ৭শত জন দুস্থ মহিলা ভিজিডি কার্ডে মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার ইউনিয়নের আলীকদম বাজারস্থ কার্যালয়ে ২০৩ জন ভিজিডি প্রাপ্ত মহিলার মাঝে চাল বিতরণ করা হয়।
পাঠকের মতামত: