ঢাকা,রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

নাইক্ষ্যংছড়িতে  ভাবীর সংস্পর্শ আসা  ননদ  , মেয়ে ও ভাগ্নী করোনা জয় করে বাড়ি ফিরলেন

এম হাবিবুর রহমান রনি, নাইক্ষ্যংছড়ি ::  নাইক্ষ্যংছড়িতে ভাবীর করোনা সংস্পর্শে ননদসহ তিনজন আইসোলেশন থেকে করোনা জয় করে বাড়ি ফিরছে।

দুই সপ্তাহ করোনার সাথে যুদ্ধ করে  ডাক্তাদের অক্লান্ত চেষ্টায় রোগমুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরার সনদ পেয়েছেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের কম্বোনিয়া এলাকার ৫ বছরের শিশু সন্তানসহ আলম আরা ও সাহেদা আক্তার। বুধবার (১৩ মে)  সন্ধ্যায় তারা বাড়ি ফেরার সনদ পেয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য প: প: কর্মকর্তা ডা, অাবু জাফর মো, ছলিম।

তিনি বলেন, গত ২৬ এপ্রিল হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসেন জন্নাতুল হাবিবা নামে এক ভদ্র মহিলা। কর্মরত চিকিৎসক বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ওই মহিলা থেকে করোনা উপসর্গের কথা জানতে পেরে নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হয়।

পরদিন নমুনা রিপোর্টের ফলাফল পজেটিভ। তখন এলাকায় ১৭ ঘর-বাড়ি লকডাউনের আওতায় আনে প্রশাসন। ওই রোগী জন্নাতুল হাবীবাকে নিয়ে আসা হয় নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতাল আইসোলেশনে।

পরদিন (২৮ মে) জন্নাতুল হাবিবার সংস্পর্শ ২০ জনের নমুনা নিয়ে ল্যাবে পাঠানো হলে (৩০ মে) ২০জনের মধ্যে ৫বছরের শিশুসহ তিন জনের পজেটি এবং বাদী ১৭ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। পরদিন ওই পজেটিভ পাওয়া তিন জনকে হাসপাতালের আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া আরম্ভ করি।

পরপর দুই বার নমুনায় নেগেটিভ আসায় আজ ১৩ দিন পর আপাততে সুস্থ বলে বাড়ীর ফেরা সনদ প্রদান করি। তবে রোগীদেরকে আরও সাত দিন হোম কোয়ারেন্টেইনে থাকার নির্দেশনা দিতে হয়েছে।  কারন চতুর্থ বারের মতো নমুনা সংগ্রহ করে রিপোর্টের উপর নির্ভর করবে তারা সমাজে অবাদে চলাফেরা করতে পারবে কিনা।

এই যাবত নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতাল থেকে ল্যাবে পাঠনো নমুনা টেস্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭১ জনের। তার মধ্য শিশুসহ ৫ জনের রিপোর্ট পজেটিভ আসলেও বাকী ১৬৬ জনের রিপোর্ট নেগেটি এসেছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানান।

নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি জানান, যে ১৭ ঘর-বাড়ী লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে তা বলবত রাখা হচ্ছে। ন্যাশানাল গাইড লাইন অনুযায়ী ওই রোগীদের চতুর্থ  নমুনা রিপোর্টের উপর নির্ভর করে বলা যাবে লকডাউন শিথিল করার বিষয়টি।

পাঠকের মতামত: