ঢাকা,সোমবার, ৬ মে ২০২৪

কলেজের নামে পাহাড় কাটার অভিযোগ সাতকানিয়ায়

সাতকানিয়া প্রতিনিধি :: সাতকানিয়া উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়নে সরকারি অনুমোদন ব্যতীত একটি চক্র পাহাড় কেটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্কেভেটর দিয়ে মাটি কাটায় একদিকে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ অন্যদিকে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। জানা যায়, তারা একটি কলেজের নামে মাটি কেটে তা বিক্রি করে দিচ্ছে। এলাকার লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম উক্ত স্থান পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, তারা ইতিমধ্যে পাহাড়ের ৯ লক্ষ ঘনফুট মাটি কেটে নিয়েছে। যা পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০)-এ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাদের এনফোর্সমেন্ট মামলা (নম্বর ৪০৩/২০২০-১৪৩০ তাং : ৭ জুলাই) অনুযায়ী আগামী ২৭ জুলাই কাগজপত্র নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামে হাজির হওয়ার জন্য পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসাইন নির্দেশ প্রদান করেছেন।

নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন, বজলুর রশিদ, জাহেদ হোসেন শিকদার, সাহেদ হোসেন শিকদার ও রাশেদ হোসেন শিকদার প্রকাশ দুলু। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানা যায়। তিনি যাওয়ার খবর পেয়ে মাটি কাটার লোকজন পালিয়ে গেলেও মাটি কাটার স্কেভেটর দেখতে পান এবং তা জব্দ করেন। পরিবেশ ধ্বংসকারী এসব লোকের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এলাকার লোকজন সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসাইন শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কলেজ বানানোর জন্য অল্পকিছু পাহাড় কাটার প্রয়োজন হলে অনুমোদন নিয়ে কাটলে আমরাও সহযোগিতা করতাম। কিন্তু দুলু নামের ওই ব্যক্তি কলেজকে সাইনবোর্ড বানিয়ে মাটির ব্যবসা করেছেন। তিনি বেপরোয়াভাবে নির্বিচারে পাহাড় কেটেছে। আমাদের টিম তদন্ত করে পাহাড়কাটার সত্যতা পেয়েছে। তাকে নোটিশ করেছি। আইনগতভাবে তাঁকে শাস্তি পেতে হবে।’

পাঠকের মতামত: