ঢাকা,শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

কাল বৈশাখীর তান্ডব 

চকরিয়া-পেকুয়ায় দুই লবণ চাষী নিহত, উড়ে গেছে বসতঘর

কাল বৈশাখীর তান্ডব
নিজস্ব প্রতিবেদক,চকরিয়া
হঠাৎ কাল বৈশাখীর তান্ডবে কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এসময় বজ্রপাতে দুই লবণ চাষী নিহত হয়েছে। এখনো উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। বৃহস্পতিবার (২মে) ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে কাল বৈশাখীর এই তান্ডব শুরু হয়। চলে বেশ কয়েকঘন্টা।
বজ্রপাতে নিহতরা হলেন- পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কোদাইল্লারদিয়া মো.জমির উদ্দিনের ছেলে লবণ চাষী মো.দিদার (৩৪), একই উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের চড়িপাড়ার জামাল হোসাইনের ছেলে মো.আরাফাত হোসাইন (২৫)।
মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.ইউনুস  চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে হঠাৎ কাল বৈশাখীর ঝড় ও সাথে ব্যাপক বজ্রপাতও হয়।
এসময় লবণ চাষী দিদার লবণ মাঠে যায় লবণের উপর পলিথিন ঢেকে দিতে। এতে বজ্রপাতে সে দগ্ধ হয়ে মারা যায়।
রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল জানান, ভোরের দিকে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রপাত শুরু হলে বাবা জামাল হোসাইনের সাথে লবণ মাঠে যায় লবণ আরাফাত।
এসময় বজ্রপাতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়ার সময় আরাফাত নিহত হন।
অপরদিকে, কাল বৈশাখীর তান্ডবে চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী এবং উপকুুলীয় এলাকার লবণ মাঠের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। ভেঙ্গে গেছে বসতঘর ও আঙ্গিনার গাছগাছালি।
একটি পৌরসভা ও ১৮ ইউনিয়নে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। বিদ্যুৎ সরবরাহ দ্রুত চালু করতে কাজ করছে চকরিয়া বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
বিভিন্ন ইউনিয়নে গাছ পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় আপাতত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
কাল বৈশাখীর তান্ডবে চকরিয়া উপজেলার উপকুলীয় এলাকার লবণ মাঠ, ফসলি জমি ও বসতঘরও ভেঙ্গে গেছে বলে জানিয়েছেন স্ব-স্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা।
ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বলেন, কাল বৈশাখীর হঠাৎ তান্ডবে আমার ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
ভেঙ্গে গেছে বসতঘর ও আঙ্গিনার গাছগাছালি। সকাল থেকে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসকে জানানো হয়েছে।
বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরে হোসাইন আরিফ জানান, ভোরে কাল বৈশাখীর তান্ডবে আমার ইউনিয়নের লবণ মাঠের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে স্তুপ করে রাখা সব লবণ পানিকে ভেসে গেছে। তাছাড়া বসতঘরও ভেঙ্গে গেছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.ফখরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা গতকাল সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে জানানো হবে। ##

পাঠকের মতামত: