ঢাকা,সোমবার, ৬ মে ২০২৪

সাতকানিয়ায় ৩৯০ পরিবারের ৩৭১২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর পর সাতকানিয়া উপজেলার ৩৯০ পরিবারের তিন হাজার ৭১২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

এদের মধ্যে ওই রোগীর পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, লাশ ধৌতকারী, দাফনকারী, জানাজার ইমাম ও জানাজায় উপস্থিত বিপুল লোকজন রয়েছেন।

রোববার (১২ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে বিষয়টি জানিয়েছেন সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরে আলম।

করোনায় মৃত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম (৬৯)। তিনি উপজেলার পশ্চিম ঢেমশা এলাকার আলী নগরের ইছামতি গ্রামের বাসিন্দা।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি চট্টগ্রাম নগরের ফকিরহাটে ব্যবসা করতেন। ১৭ দিন আগে শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে তিনি নিজ বাড়ি সাতকানিয়ার ইছামতি নগরের ইছামতি গ্রামে চলে যান। পরে সেখান অবস্থার অবনতি হলে ১ এপ্রিল রাতে উপজেলার কেরাণীহাটে বেসরকারি আশ শেফা হাসপাতালে ভর্তি হন। ২ এপ্রিল করোনা সন্দেহে রোগীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) রেফার করেন চিকিৎসক। পরে চমেকে আনার পথেই ওইদিনই রোগীর মৃত্যু হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরে আলম বলেন, ‘চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা এটাই প্রথম। রোগী শহরে ব্যবসা করলেও কিছুদিন আগে বাড়ি ফেরেন। পরে স্থানীয় একটি হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। পরে চট্টগ্রামে নেয়ার পথে মৃত্যু হয়। তবে রোগীর করোনা উপসর্গ থাকায় চমেক হাসপাতালেই নমুনা সংগ্রহ করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজে (বিআইটিআইডি) পাঠানো হয়। শনিবার নমুনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট করোনা পজেটিভ এসেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই গ্রামের সব প্রবেশ পথে আমরা পাহারা বসিয়েছি। আগামী ১৫ দিন কেউ এই গ্রামে প্রবেশ করতে পারবে না, আবার বের হতেও পারবে না।

‘সন্দেহভাজন করোনা রোগী হওয়ায় বৃহস্পতিবার তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়, শনিবার তার নমুনায় করোনার উপস্থিতি নিশ্চিত হয় বিআইটিআইডি।’

পাঠকের মতামত: