ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

পটিয়ায় পরিবহন ধর্মঘটে জনজীবন অচল : পথে পথে বাঁধা-কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারেনি শিক্ষার্থীরা (পটিয়া সংবাদ)

আবদুল হাকিম রানা, পটিয়া : সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধন সহ ৮ দফা দাবিতে পরিবহন শ্রমিকদের আহুত ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘটের প্রথম দিনে পটিয়াসহ দক্ষিণ চট্টগ্রাম অচল হয়ে পড়ে। এতে গতকাল রবিবার সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে সৃষ্ট ভোগান্তির পাশাপাশি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে দূরপাল্লা ও মাঝারি আকারের যানবাহনগুলো চলাচল করতে পারেনি। মাঝে মধ্যে সিএনজি অটো রিক্সা চলাচল করলেও এতে বিভিন্ন এলাকায় পরিবহন শ্রমিকরা বাঁধা প্রদান করায় বার বার যাত্রীদেরকে পরিবহন পাল্টে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা যায়। এতে বিশেষ করে অফিসগামী ও ফেরৎ যাত্রী সহ স্কুল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ শিক্ষার্থীদেরকে মারাত্মক ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়।

পটিয়ার যাত্রীদেরকে বাদামতল, শান্তির হাট ও মইজ্জারটেক পর্যন্ত কয়েকবার সিএনজি অটো রিক্সা পরিবর্তন করে গন্তব্যে পৌঁছতে গিয়ে কর্ণফুলী ৩য় সেতু হেটে পারাপার হতে হয়। আবার অনেককে নৌকায় চড়ে কর্ণফুলী নদী পার হতে দেখা যায়। এডভোকেট খুরশিদ আলম জানান, আমি শান্তির হাট থেকে ব্রীজ ঘাটা পর্যন্ত ২টি সিএনজি পাল্টে নৌকায় চড়ে কর্মস্থলে এসেছি। এছাড়াও ব্যাংকার নুরুল আবছার জানান, শুধু সাধারণ যাত্রী নয় চাকুরীজীবী ও শিক্ষার্থীদেরকেও এ ধর্মঘটে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে। এছাড়াও ধর্মঘটের সুযোগে সিএনজি অটো রিক্সা চালকরা ৪/৫ গুন অতিরিক্ত ভাড়া নিয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।

এছাড়াও স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীরা গতকাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়তে ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। নুরুল আলম নামে এক শিক্ষার্থী জানান, আমি পটিয়া সদর থেকে হুলাইন ছালেহ নুর কলেজে যাওয়ার জন্য বের হয়ে দুটি সিএনজি পাল্টে কলেজে আসতে পেরেছি। দিনভর বাস সহ বড় কোন যানবাহন চলাচল করতে না পারায় জনজীবন এক প্রকার অচল হয়ে পড়ে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।

জানা যায়, বাস চালক পরিবহন শ্রমিকরা সারাদেশে গতকাল থেকে ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘট আহবান করেছে সড়ক পবিহন আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধন ও ৮ দফা দাবি আদায়ের নিমিত্তে। তারা দাবি করেন সড়ক দূর্ঘটনার সব মামলা জামিনযোগ্য করতে হবে। শ্রমিকদের অর্থদন্ড ৫ লাখ টাকার স্থলে ৫০ হাজার টাকা করতে হবে। সড়ক দূর্ঘটনার জটিলতর মামলার তদন্ত কমিটিতে শ্রমিক প্রতিনিধি রাখতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে ৮ম শ্রেণীর স্থলে ৫ম শ্রেণী করতে হবে। কাগজপত্রে চেকিংয়ের নামে পুলিশ হয়রানি বন্ধ করতে হবে। ওয়ায়েট স্কেলে পরিমাণ কমানোর পাশাপাশি কারাদন্ডের বিধান বাতিল করতে হবে। বর্তমানে ধর্মঘট আজ সোমবারও অব্যাহত থাকবে বলে শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন। তবে দাবি না মানলে ধর্মঘটের সময় আরো বাড়বে বলে ও তারা হুমকি দিয়েছে।

################

ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ অবিভক্ত পটিয়া আদালতে ভারতের কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্ত্তী

পটিয়া অফিস : পটিয়া যুগ্ম জেলা জজ আদালত পরিদর্শন করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বাবু তপব্রত চক্রবর্ত্তী। তিনি পটিয়া বারের সাবেক সদস্য এডভোকেট উপেন্দ্রলাল শর্ম্মার পৌপুত্র। গতকাল রবিবার বিকেলে তিনি পটিয়া আদালতে আসলে পটিয়া বারের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। বারের সভাপতি এডভোকেট দীপক শীলের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন পটিয়া যুগ্ম জেলা জজ আবদুল কাদের, ১ম সহকারী জজ মুনির হোসাইন, ভারতের সাবেক আইন মন্ত্রীর পুত্র অমর চক্রবর্ত্তী, বারের সাবেক সভাপতি স্বপন কুমার চৌধুরী, সাবেক সভাপতি বদিউল আলম, সাবেক সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, মুকুল কান্তি দেব, অরুন কুমার মিত্র। সঞ্চালনায় ছিলেন এড. নুর মোস্তাফা। এতে ভারতের হাইকোর্টের বিচারপতি বাবু তপব্রত চক্রবর্ত্তী বলেন, এই পটিয়া ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সুতিঁকাগার। পটিয়ার এ আদালত চট্টগ্রামের পরীর পাহাড়ের আদালতের প্রায় ১০ পূর্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবিভক্ত পটিয়া ছিল এদেশের স্বাধীকার থেকে শুরু করে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র। এ আদালতে আমার পিতামহ আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন অতিবাহিত করেন। তিনি পটিয়া বারকে জনগণকে সহজভাবে আইনী সহায়তা প্রদান সহ জনকল্যাণে কাজ করার আহবান জানান। পরে তাকে বারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক দিয়ে সংবর্ধিত করা হয়।

###############

পটিয়ায় রোটারী-প্রত্যয় আন্ত-স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন বিতর্ক চর্চার মাধ্যমে সৃজনশীল ও মেধাবী সমাজ নির্মাণ সম্ভব

পটিয়া অফিস : বিতর্ক চর্চার মাধ্যমে যুক্তিবাদী, সৃজনশীল ও মেধাবী নেতৃত্ব তৈরী হয়। যার মাধ্যমে সুষ্ঠু ও মেধাবী সমাজ নির্মাণ সম্ভব। গতকাল শনিবার প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমি কর্র্তৃক আয়োজিত রোটারী-প্রত্যয় আন্ত-স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথিরা তাদের বক্তব্যে এ কথা বলেন। অতিথিরা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, পড়ালেখার পাশাপাশি শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রম হিসেবে বিতর্ক চর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যার মাধ্যমে মেধার সঠিক বিকাশ ঘটে। ছাত্রÑছাত্রীদের শুধুমাত্র পড়ালেখার মধ্যে আবদ্ধ থাকলে হবে না। তাদেরকে বিতর্কের মত অন্যান্য সৃজনশীল কর্মকান্ডে নিয়োজিত রাখতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীরা যদি তাদের শিক্ষা জীবনেই বিতর্ক সহ শিক্ষা সহায়ক কাজে যুক্ত থাকে তাহলে তারা কর্মক্ষেত্রে সব সময় এগিয়ে থাকবে।

পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই বিতর্ক প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষকতা করেন রোটারী ক্লাব অব চিটাগং মিড সিটি ও সহযোগিতা করেন দৃষ্টি চট্টগ্রাম। একাডেমির নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ ফারুক রবির সভাপতিত্বে ও সদস্য সুকান্ত দাস এর সঞ্চালনায় পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান, সহকারী প্রধান শিক্ষক সুনিল কুমার বড়–য়া, ইউনিয়ন কৃষি স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক মেহিাম্মদ ওমর ফারুক, পটিয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাকিম রানা, চিটাগাং আইডিয়াল হাই স্কুলের শিক্ষক মামুনুর রশিদ চেীধুরী, মাবিলা এন্ড ছৈয়দ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এস এম হারুনুর রশীদ, আবদুর রহমান সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মিলি দাশ, একাডেমির সমন্বয়ক এমরান হোসেন রাসেল। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় পটিয়ার মোট ৮টি স্কুল অংশগ্রহন করে। প্রতিযোগিতায় পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন ও আবদুর রহমান সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় রানার্স আপ হয়। তৃতীয় স্থান অর্জন করেন ইউনিয়ন কৃষি উচ্চ বিদ্যালয়। সেরা বক্তা নির্বাচিত হয় চ্যাম্পিয়ন দলের অমিত চক্রবর্তী এবং সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হয় আবু সায়িদ আল আমিন। দুইদিন ব্যাপি এই প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন দৃষ্টি চট্টগ্রাম এর মোহাম্মদ ফয়সাল, জিকু দাশ, তানভির মোরশেদ, তাহসিন রিফাত।

#########################

অসাম্প্রদায়িকতার চলমান ধারা অব্যাহত রাখতে হবে

পটিয়ায় পূজা পরিষদের বিজয়া সম্মেলনের প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন

পটিয়া অফিস : পটিয়া পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে শুভ বিজয়া সম্মেলন উদযাপন করার লক্ষ্যে এক প্রস্তুতি সভা গতকাল উপজেলা পূজা পরিষদ সভাপতি ঋষি বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৌমেন চক্রবর্ত্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্টিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলার সভাপতি জিতেন কান্তি গুহ, বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার দে, জেলার ঐক্য পরিষদ সভাপতি দিলীপ ঘোষ দিপু, স্বপন মিত্র, অধ্যাপক যদুরঞ্জন চৌধুরী, সুনীল কান্তি দে, বিশ্বজিৎ দাশ, প্রণব দাশ, মাদব চন্দ্র নাথ, উত্তম কুমার দে, কাজল চৌধুরী, সমর দাশ, জুয়েল দাশ কৃষ্ণ গুপ্ত, যাদব সর্দ্দার, মিল্টন দাশ, ইউপি সদস্য সুমি দে, বিভুশীল, স্বপ্না চৌধুরী, ছোটন নাথ, উত্তম বৈদ্য প্রমুখ। এতে বক্তারা শুভ বিজয়া সম্মেলন অনুষ্ঠান আগামী ২ নভেম্বর সফল করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানিয়ে বলেন, অসাম্প্রদায়িকতার চলমান ধারা অব্যাহত রাখতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

পাঠকের মতামত: