ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

এইচএসসিতে ফেল করার কারণ খুঁজে বের করতে হবে -অতিরিক্ত সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্রগ্রাম ::   শিক্ষামন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব(কলেজ) ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন বলেছেন– ৭০ কিংবা ৮০ পার্সেন্ট শিক্ষার্থীর পাসের খবরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আত্মতৃপ্তিতে ভোগার কোন সুযোগ নেই। বাকি যারা ফেল করছে, তাদেরও তো ফেল করার কথা না। তারা তো আগের ধাপগুলো (জেএসসি/এসএসসি) পাস করেই এসেছে। তাহলে এখানে (এইচএসসিতে) কেন ফেল করছে। এই ফেলের পিছনে মূল কারণগুলো চিহ্নিত করতে হবে।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড মিলনায়তনে ২০১৮ সালের এইএচএসসির ফলাফল পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুমোদিত ২৬৩ কলেজ অধ্যক্ষদের নিয়ে গতকাল (১৫ সেপ্টেম্বর) এ সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড। শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর শাহেদা ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মাউশি’র চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্তী। প্রধান অতিথি ড. মোল্লা জালাল আরো বলেন– শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম (ক্লাস) ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিধি–বিধানও যথাযথ ভাবে মেনে চলতে হবে।

সভায় অংশ নেয়া কলেজ অধ্যক্ষদের অনেকে অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যা ও দুর্বল ফলাফলের কারণ তুলে ধরেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাহ্যিক বিভিন্ন চাপের কথাও তুলে ধরেন কয়েকজন অধ্যক্ষ। বাহ্যিক চাপের বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব বলেন– প্রতিষ্ঠানে এরকম বিভিন্ন চাপ থাকবেই। চাপের মধ্যেই নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রতিষ্ঠান চালানোর এবং এগিয়ে যাওয়ার কৌশল নিজেদেরই বের করে নিতে হবে। শিক্ষায় কাঙিক্ষত গুণগতমান অর্জনের লক্ষ্যে শিক্ষা পরিবারের সকলকে আন্তরিকভাবে একযোগে কাজ করার আহবান জানান সভার বিশেষ অতিথি প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্তী। উপ–পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. তাওয়ারিক আলমের সঞ্চালনায় সভায় শিক্ষাবোর্ডর সচিব প্রফেসর শওকত আলম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক, বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মো. আবু তাহের, উপ–পরিচালক (হিসাব ও নিরীক্ষা) প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র নাথ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যের মধ্যে উপ–বিদ্যালয় পরিদর্শক আবুল মনসুর ভূঁইয়া, উপ–পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রসেনজিত পাল, মূল্যায়ন কর্মকর্তা ড. শুক্লা রক্ষিত প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। সভায় চট্টগ্রাম কলেজ, মহসিন কলেজসহ বেশ কয়টি কলেজের অধ্যক্ষরা নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেন।

পাঠকের মতামত: