ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

সাগরে জলদস্যুদের হাতে অপহৃত বাঁশখালীর ৭৮ মাঝি-মাল্লা মুক্তিপণেই মুক্তি!

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ::

বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া এলাকায় অপহৃত বাঁশখালীর ৪ মাছধরা নৌকার ৭৮ মাঝি-মাল্লার মুক্তি মিলল মুক্তিপণ দিয়েই। শনিবার দুপুরে জলদস্যুদের হাতে নৌকার মালিকদের পক্ষ থেকে তুলে দেওয়া হয় মুক্তিপণের ১৬ লাখ টাকা। রাতে ছাড়া পান মাঝি-মাল্লারা।

এর আগেও অন্ততঃ ৮টি মাছধরা নৌকার মালিকদের কাছ থেকে জলদস্যুরা ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করেছিল। এ ঘটনায় বাঁশখালীর জেলে পল্লীগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

জলদস্যুদের বেপরোয়া তৎপরতা ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় মাছধরা নৌকার মালিকরা সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অভিযোগ করেও কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পান না বলে অভিযোগ করেছেন।

মুক্তিপণ প্রদানকারী মাছধরা নৌকার মালিকরা হলেন ‘আল্লাহর দয়া’র মালিক আব্দুল খালেক, ‘মায়ের দোয়া’র মালিক আলী হোসেন, ‘কালু ফকির’-এর মালিক ফজল কাদের এবং ‘আল্লাহর দান’-এর মো. মিয়া। প্রত্যেক মাছধরা নৌকা থেকে ৪ লাখ টাকা করে ১৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে।

বাঁশখালী ফিশিং বোট মালিক সমিতির সভাপতি মো. এয়ার আলী জানান, বঙ্গোপসাগরে এখন জলদস্যুদের উৎপাত বেড়ে গেছে। গভীর সাগর থেকে মাছ ধরে বাড়ি ফেরার পথে গত শুক্রবার রাতে বাঁশখালীর শেখেরখীল এলাকার ৪টি মাছধরা নৌকার ৭৮ মাঝি-মাল্লাদের অপহরণ করে জিম্মি করে করে রাখে জলদস্যুরা। পরে বোট মালিকদের কাছ থেকে ফোনে ৪ লাখ টাকা করে চাঁদা দাবি করে জলদস্যুরা। না হয় জেলেদের হত্যা করার হুমকি দেয় তারা। বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গত শনিবার দুপুরে মাছধরা নৌকার মালিকরা মুক্তিপণের ১৬ লাখ টাকা দিলে জিম্মিদশা থেকে রাতে মুক্তি পান মাঝি-মাল্লারা।

বাঁশখালী থানার কর্তব্যরত এএসআই মো. নুরুন্নবী রবিবার সকালে বলেন, ‘বঙ্গোপসাগর এলাকা বাঁশখালী থানার অধীনে নয়। তাছাড়া এ ধরনের কোনো অভিযোগও থানায় কেউ করেননি। অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানিয়ে সাহায্য করা যেত’।

পাঠকের মতামত: