চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহসিন জানিয়েছেন এমন ছয়জন প্রতিভাবান অভিজাত চোরের কাহিনী।  তিনি বলেন, রবিবার রাতে নগরীর লাভ লেইনস্থ স্মরনিকা ক্লাবের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ছয়জনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ। পরে ঘটনাস্থলে কোতোয়ালি থানার একটি টিম পাঠিয়ে এক কিশোর ও পাঁচ নারীকে আটক করা হয়।

আটকের কারণ জানতে চাইলে ওসি মহসিন বলেন, এরা অভিজাত চোর। এরা গত ৬ জুলাই রাতে লাভ লেইনের স্মরণিকা ক্লাবে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যায়। সেখানে অতিথি বেশে অবস্থান করে উদয়ন দাশ গুপ্ত নামের এক ব্যক্তির স্ত্রীর ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে এমআই নোটথ্রি মডেলের একটি মোবাইল সেট চুরি করে।

ব্যবসায়ি উদয়ন দাশ বিষয়টি ক্লাব কর্তৃপক্ষকে জানালে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে চোরদের সণাক্ত করা হয়। এরপর চোরের দলটি রবিবার রাতে অপর একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলে ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাদের আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।  পুলিশ টিম গিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করার পর তারা চুরির ঘটনা স্বীকার করে এবং তাদের দেওয়া তথ্য মতে এরপর বাকলিয়ার ক্ষেতচর আলম কুটি এলাকায় একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে উদয়নের স্ত্রীর মোবাইলটির পাশাপাশি আরও ২২টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

ওসি মহসিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চোর চক্রটি শিশু পার্ক ও বিয়ে অনুষ্ঠানগুলোতে সেজে গুজে ভ্যানিটি ব্যাগ ও মোবাইল চুরি করে আসছিল। এদের মধ্যে ধর্ণাঢ্য পরিবারের পারিবারিক অনুষ্ঠানের খবর যোগাড় করে মহেশখালীর চরপাড়ার ফজল আহম্মদের ছেলে নুর হোসেন (১৮)। খবর পেয়ে এ দলের অন্যান্য সদস্যরা সেজে গুজে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে সে অনুষ্ঠানে যায়। পরে পারিবারিক আনন্দ উদমাদনা আর নাচে গানে যখন আমন্ত্রিত অতিথিরা অন্য মনস্ক থাকে ঠিক তখনই চোরের দলটি অতিথিদের ব্যাগ থেকে মোবাইল, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার হাতিয়ে মুহূর্তেই চম্পট দেয়।

আটক ছয় সদস্যের অনান্য নারী সদস্যরা হলেন, কক্সবাজারের মহেশখালীর চরপাড়া জাহেদের বাড়ির হামিদ হোসেনের স্ত্রী হামিদা বেগম (৪০) ও তার দুই মেয়ে ফাতেমা বেগম (২৬) এবং চুফরা সহুরা ওরফে কালা বুড়ি (১১)। হামিদার মামাতো বোন ও টেকনাফের সাপুর ডিয়া জেলে পাড়ার মৃত নুর মোহাম্মদের মেয়ে রিপা আক্তার (১৫) ও দোহাজারীর জামির জুড়ির মো. জাহাঙ্গীরের মেয়ে জান্নাত আরা ফেরদৌস (১৪)।

আটক একমাত্র ছেলেটিও হামিদার ভাইয়ের ছেলে বলে জানিয়ে ওসি মহসিন বলেন, এসব চোরাই মোবাইল ও জিনিসপত্র যারা ক্রয় করেন তাদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।