ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চট্রগ্রামে পুলিশের বাধা সত্বেও বিপ্লব উদ্যানে নগর ও উত্তর জেলা বিএনপির পুস্পস্তবক অপর্ণ,সমাবেশে পুলিশ বাধা

ctgচট্রগ্রাম প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামে পুলিশের বাধাও পর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে “ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর  বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষ্যে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ষোলশহরস্থ বিপ্লব উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে নেতা কর্মীরা।

সোমবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও উত্তর জেলা বিএনপি নেতারা ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে পুস্পস্তবক অর্পণ করতে গেলে প্রথমে উত্তর জেলা নেতাদের এবং পরে মহানগর নেতাকর্মীদের বাধা দেয় পুলিশ। এসময় নেতাকর্মীদের সাথ পুলিশের হাতাতি এবং ধারক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।

সকাল ১১ টায় পুলিশ বাধা উপেক্ষা করে পুষ্পস্তবক অর্পন কালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, এই অবৈধ সরকার একদলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে দেশে বাকশাল কায়েম করেছে। তারা একদলীয় বাকশালী কায়দায় দেশ পরিচালনা করছে। দেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে এখন রাজনৈতিক দলের সভা সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান পরিপন্থী। এই অবৈধ সরকার স্বৈরাচার এরশাদকেও হার মানিয়েছে। নব্য বাকশালী স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

সমাবেশে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, দেশের মানুষ এই স্বৈরাচার সরকারের হাত থেকে মুক্তি পেতে চায়। স্বৈরাতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে এদেশের জনগণ গণতন্ত্রের মুক্তির সংগ্রামে এগিয়ে আসবে।

পুস্পস্তবক অর্পন কালে  অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বিএনপি নেতা ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইকবাল চৌধুরী, জিএম আইয়ুব খান, শাহেদ বক্স, বাবু টিংকু দাশ, নগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী মোঃ সিরাজ উল্লাহ, বিএনপি নেতা মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, ছাইফুর রহমান শপথ, আব্দুল কাদের জসিম, জিয়াউর রহমান জিয়া, আতাউল্লাহ বাবু, মঞ্জুরুল আলম, খায়রুজ্জামান জুনু, মুহাম্মদ মুছা, আলাউদ্দিন সুমন, মুহাম্মদ হামিদ, সামিয়াত আমিন জিসান, ইয়াকুব আলী সিফাত, মোঃ শফি, মোঃ দিদার প্রমুখ।

সকালে নগরীর ষোলশহর ২নং গেইটস্থ বিপ্লব উদ্যানে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে পুলিশি বাধাঁর মুখে পড়ে উত্তর জেলা বিএনপি। নেতাকর্মীদের মুহু মুহু শ্লোগানে পুলিশি বাধাঁ অতিক্রম করে বিপ্লব উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এসময় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উত্তর জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল আহসান বলেন, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার যেভাবে বিরোধী দলের উপর দমন, নিপীড়ন, নির্যাতনের মাধ্যমে দেশ শাসন করছে তাদের বিরুদ্ধে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশবাসীকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ইতিহাস রচিত হয়েছে। ঐ দিন সিপাহী জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের সংকট মোকাবেলা করেছিল। বর্তমান বিপদগামী আওয়ামী সরকারের হাত থেকে দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে দেশের জনগণকে আবারও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

উন্নয়নের বিভ্রান্তিকর প্রচার চালিয়ে এ সরকার যেভাবে অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না  করলে এরা আরো সাহসী হয়ে উঠবে। এতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুন্ন হবে। দেশপ্রেমিক জনতাকে এখনই প্রতিবাদী হতে হবে। বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম উত্তর জেলার উদ্যোগে এক সমাবেশ উত্তর জেলার সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, জেলা বিএনপি’র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, ফটিকছড়ি থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক মো. আলমগীর, রাউজান উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আহমদ ফিরোজ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হারুন চেয়ারম্যান, সহ-সভাপতি মো. মহিউদ্দিন, বিএনপি নেতা এস. ইউনুছ, কামাল আহমেদ, মো. হোসেন চেয়ারম্যান, এনামুল হক তপন, জাফর চৌধুরী, শাহজাদা ফজলুল কাদের ফারুকী, ইউসুফ চৌধুরী, এস.এম মহিউদ্দিন মাসুদ, আজমত আলী বাহাদুর, আমান উল্লাহ আমান, মোশাররফ হোসেন, সাহাব উদ্দিন সুমন, আলমগীর হোসেন, মাহফুজুর রহমান, হাসান তালুকদার, সাবের সুলতান, ইউসুফ তালুকদার, সাঈদ আলম রানা, মো. রিদোয়ান, জানে আলম, আওরঙ্গজেব সম্রাট, মো. আতিক, মো. সোহেল, সাবের সুলতান কাজল, ওয়াসিম রেজা, মনোয়ার মুন্না, মো. ওয়াহিদ, ছাত্রদল নেতা রাসেল খান, আকরামুল আজিম, জাবের উদ্দিন টিপু, রেজাউল করিম বাবু, বিপুল খান প্রমুখ।

বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও র‌্যালী করেছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি(আসলাম গ্রুপ)। সকাল ১০টায় নগরীর স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ষোলশহরস্থ বিপ্লব উদ্যানে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে বিপ্লব উদ্যানে ফুল দিতে গেলে পুলিশ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বাধা দেয়। এ সময় তারা বিপ্লব উদ্যান চত্ত্বরে তাৎক্ষণিক সভা করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি এম এ হালিম।

উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, সালাউদ্দিন আহমেদ, ইসহাক কাদের চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ, সেকান্দর চৌধুরী, আবদুল আওয়াল, এডভোকেট আবু তাহের, আজম খান, জসীম উদ্দিন চৌধুরী, ডা.খুরশিদ জামিল, নবাব মিয়া চেয়ারম্যান, কুতুব উদ্দিন খান, উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান মঞ্জু, হাটাহাজরী পৌর বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন, রাঙ্গুনিয়া পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব ছাফা,ফটিকছড়ি বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ নাছির উদ্দিন, মোবারক হোসেন কাঞ্চন চেয়ারম্যান,উত্তর জেলা জাসাসের সভাপতি হাসান মুকুল, ছাত্রদলের সহ সভাপতি সরোয়ার সেলিম, অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম লতিফি, মঞ্জুরুল হক বাহার,কামাল উদ্দিন, ফজল বারেক, কাজী মো.মুছা মো.সিদ্দিক, এইচ এম নুরুল হুদা, ফোরকান রিজভী,হাটহাাজরী বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুছলিম উদ্দিন, এস এম ফারুক, এডভোকেট রেজোয়ান নুর সিদ্দিকী উজ্জ্বল, হাকিম উদ্দিন, নুরুল আলম, এজাহার মিয়া, জহুরুল আলম, ফজলুল করিম চৌধুরী, বদিউল আলম বদরুল মো.মাঈনুদ্দিন, রুহুল আমিন, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাহেদুল আবসার জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম জনি, সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, মোরশেদ হাজারী, আজিজ উল্লাহ, কাজী সেলিম, মো.কামাল উদ্দিন, সৈয়দ মোস্তফা আলম মাসুম প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রেও প্রবক্তা। তার উন্মুক্ত গণতন্ত্র শেখ হাসিনা নব্য বাকশাল সৃষ্টির মাধ্যমে গণভবনের চার দেয়ালে আবদ্ধ করে রেখেছে। ৭ নভেম্বর যেভাবে সিপাহী জনতা তাদের যোগ্য নেতা জিয়াউর রহমানকে বিপ্লবের মাধ্যমে মুক্ত করেছিলেন, ঠিক তেমনি অবরুদ্ধ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বেগম জিয়ার নেতৃত্বে আরেকটি বিপ্লব প্রয়োজন। আজ বাংলাদেশে গণতন্ত্র বন্দী। দুর্নীতি, দু:শাসন, জুলুম নির্যাতনে মানুষ অসহায়। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের প্রতীক। দেশে আজ কোনো গণতন্ত্র নেই, কোনো আইনের শাসন নেই। সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। বাকশালীদের হাত থেকে দেশ মুক্ত করতে হবে। কারণ এদেশের জনগণ বিএনপির সঙ্গে আছে। তাই ঐক্যবদ্ধভাবে এ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান বক্তারা। বক্তারা অবিলম্বে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক লায়ন আসলাম চৌধুরীর মুক্তি দাবি করেন।

মহানগর যুবদল:

নগর যুবদলের সমাবেশে পুলিশের বাধা।
বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষ্যে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ষোলশহরস্থ বিপ্লব উদ্যানে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি কাজী বেলাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন দিপ্তীর নেতৃত্বে  পুলিশী বাধা উপেক্ষা করে পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, দেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে এখন রাজনৈতিক দলের সভা সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান পরিপন্থী। এই অবৈধ সরকার স্বৈরাচার এরশাদকেও হার মানিয়েছে। নব্য বাকশালী স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।দেশের মানুষ এই স্বৈরাচার সরকারের হাত থেকে মুক্তি পেতে চায়। স্বৈরাতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে এদেশের জনগণ গণতন্ত্রের মুক্তির সংগ্রামে এগিয়ে আসবে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সহ-সভাপতি নুর আহমদ গড্ডু, আজমল হুদা রিংকু, শাহেদ আকবর, হাবিবুর রহমান মাসুম, আব্দুল কাদের জসিম, মিয়াখান হারুন, সাহাবুদ্দীন বাবু, ইকবাল পারভেজ, এইচ.এম. আজাদ, কামরুল ইসলাম, মোঃ তাজু, মাহবুবুর রহমান, মোঃ আরিফ, মুজিবুর রহমান রাসেল, শাহদাত হোসেন ওয়াসিম, হুমায়ুন কবির, মোঃ ইয়াছিন, আব্দুল আওয়াল টিপু, মোঃ জসিম, মোঃ আক্কাস, মোঃ গোলাপ, মোঃ মুন্না, গিয়াস উদ্দিন টুনু, মনোয়ার হোসেন মানিক, আসাদুর রহমান রুবেল, মোঃ রাজু খান, মোঃ নেজাম উদ্দিন, মোঃ বাচ্চু মিয়া, ইব্রাহিম খলিল সবুজ, ইকবাল হোসেন, মোঃ সোলায়মান, মিলন, সাদ্দাম, সুজন দাশ, জোনায়েদ হাসান রানা, শফিউল বশর আরিফ  প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

পাঠকের মতামত: