ঢাকা,সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

ঘুমধুমে প্রতিমন্ত্রীর নাম ভাংঙ্গিয়ে পাহাড় কাটা ও করাত কলে চলছে গাছ নিধনের মহোৎসব

১২মাহমুদুল হক বাবুল, উখিয়া ::

কক্সবাজারের উখিয়ার পার্শ্ববর্তী সীমান্ত নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ও তুমব্রু ্এলাকায় এক শ্রেনীর পরিবেশ, সরকারী বন ও বন সম্পদ লুন্ঠনকারীরা পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর বীর বাহদুরের নাম ভাঙ্গিয়ে ও বন প্রশাসনকে বৃদ্ধঙ্গুলি দেখিয়ে ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির কথিত এক শ্রেনীর দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তাদেরকে মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে ইউনিয়নের উন্নয়নের রূপকার নামে খ্যাত সফল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজের সুযোগ্য ছোট ভাই মোঃ বারেক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ঘুমধুম বেদবুনিয়া এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ফজল আহম্মদের ছেলে এলাকার চিহ্নিত ভুমি দস্যু ও বন সম্পদ লুন্ঠনকারী নামে পরিচিত রশিদ আহম্মদ, টাইপালং এলাকার আলী আহম্মদ কোম্পানীর ছেলে আন্ডার ওয়াল্ড হুন্ডি বানিজ্যর অন্যতম গডফাদার আব্দুল হামিদের ছোট ভাই, সীমান্তের হুন্ডি নিয়ন্ত্রক সিরাজ প্রকাশ হুন্ডি সিরাজ, ও তুমব্রু এলাকার ভুমি গ্রাসী আমির বশর ঘুমধুম ইউনিয়নের কচুবনিয়া এলাকায় করাত কল বসিয়ে কাঠ চোর সিন্ডিকেটের সাথে গভীর সখ্যতা গড়ে তোলে কাঠ চিরাইয়ের মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে । অপর দিকে তুমব্রু ঝলপাই তলী এলাকার সরকারী বন ভুমির বিলাশ বহুল পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এতে বিলীন হচ্ছে সরকারী বন ভুমি, ধ্বংস হচ্ছে বন সম্পদ। তাদের এ অপকর্মের বিরুদ্ধে এলাকার কেউ মূখ খুলতে সাহস পাই না। কারণ এ বন সম্পদ লুন্ঠনকারীদের বিরুদ্ধে কথা বা প্রতিদবাদ করলে তাদের উপর নেমে আসে চরম অত্যচার ও নির্যাতন তাই এলাকার কেউ তাদের বিরুদ্ধে মূখ খুলতে সাহস পাই না। সূত্রে জানা গেছে, ঝলপাইতলী এলাকার সরকারী বন ভুমির পাহাড় কেটে ডাম্পার যোগে মাটি নিয়ে যাচ্ছে চেয়ারম্যানের ছোট ভাই বারেকের বাজার ভরাটের জায়গায়। জানতে চাইলে বারেক ক্ষব্ধ কন্টে বলেন, পাহাড় কাটলে কি হয়, এখানেতো সব আমাদের। তাইলে পাহাড় কাটতে দোষকি। ভুমি দস্যু রশিদের কাছ থেকে জানতে চাইলে, সে পাহাড় নিজে কাটেনা। সে পাহাড় কাটায় শ্রমিক দিয়া। আরেক গডফাদার আমির বশর বলেন, পাহাড় কাটার বিষয়ে কথা বলতে চাইলে চেয়ারম্যানের ভাই বারেক ও রশিদের সাথে কথা বলেন। রেজু বিট কর্মকর্তা মোঃ ছৈয়দ আলম পাহাড় কাটা সম্পর্কে কিছুই জানেনা বলে দাবী করেন। লামা রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুস ছবুর বলেন, আমিত অন্য রেঞ্জে বদলি হয়ে গেছি, তার পরেও বিষয়টি আমি বিভাগী বন কর্মকর্তাকে জানাচ্ছি এবং পাহাড় কেখোদের বিরুদ্ধে যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সরর্দার শরিফুল ইসলাম বলে, অতি শিগ্রই পরিবেশ ও বন ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

পাঠকের মতামত: